বাংলাদেশে হিন্দুরা মায়ের কোলে শিশুর মতই নিরাপদ। আমরা তাদেরকে এখানে সেরকম সুরক্ষা দেবো। কিন্তু আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ গুন্ডালীগ দের জন্য শুধু দুটো অপশন : কবরস্থান অথবা হিন্দুস্থান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, গুন্ডালীগদের ধরে ধরে চোখে কাল কাপড় বেঁধে কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেবেন এবং অথবা হিন্দুস্থান চালান করে দেবেন। এটা না করলে এই গণ অভ্যাউত্তান একদিন ব্যর্থ হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলন – বাংলার বড় বড় আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য ও অন্যতম সংযোজন ও অর্জন। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে চিরদিন।

ইন্ডিয়া বাড়াবাড়ি করলে আমাদের সেনারা ও বাংলার ছাত্র জনতা দিল্লি পর্যন্ত পোঁছে যাবে এবং এই হিন্দুবাদী মোদী দভাল দেরও তাড়াবে। অবশ্য এই মোদী দভাল অমিতরা ভারতের মুসলমানদের যে হাল করেছে তাতে আমাদের এখনই দিল্লি পৌঁছা উচিত, কিন্তু আমরা তাদের অভান্তরীণ বিষয় বলে সেটা করছিনা। সুতরাং ভারতেরও উচিত আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো। মনে রাখবেন আমরা বিপ্লবী বাঙালিরাই ভারত পাকিস্থান দুই দেশকেই স্বাধীনতা দিয়েছি। ইতিহাস ভুলে যাবেন না, বাঙালিদের কাঙালি বলে গালি ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না, আমরা কাঙাল অবশ্যই কিন্তু আমাদের মনন ও রাজনৌতিক সচেতেনতা আপনারা ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানিদের চেয়েও উন্নত। পাকিস্তানিরা এটা মানে ও তাঁদের টিভি টক শো তে সেটা সম্মানের সাথে বলেও কিন্তু আপনারা অহংকারী হিন্দুস্থানীরা এটা মানেন না এবং আমাদের অসম্মান ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন।

সাংবাদিক ও মিডিয়া এতদিন জামাত বিএনপি’র কে নিয়ে যে ভাবে ও ভাষায় সংবাদ করেছে তাও বৈষম্য ছিল। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতাকে ৭১ টিভি সহ প্রতিটি মিডিয়া হাউজে কিছুদিন অনস্থান করে নিশ্চিত করতে হবে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন – নিজেদের এজেন্ডা মত নয় – এই মিডিয়াগুলো আওয়ামীলীগের চরম উগ্রপন্থাকে ইন্ধন দিয়ে গেছে তাদের নিজেদের মতো ভাষা ও ভাব দিয়ে, সুতরাং তাদের মানায়না আমাদের সমালোচনা করা যদি আমরা ছাত্র জনতা কোথাও একটু উগ্র হই। তালেবন টেকোভার এর পর আমরা দেখেছি নিউজ এঙ্কর সংবাদ পরিবেশনা করছেন আর তার দুপাশে দুজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে আছেন, প্রয়োজনে এখানেও তেমনটি করতে হবে।

আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাদের ব্যাংক ব্যবসাগুলো বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রায়িত্ব করতে হবে এবং তাদেরকে দেশ থেকে পালাতেও বাধ্য করতে হবে তাদের নেত্রীর মতই। এটা অতীব জরুরি – এটা না করলে এই আস্তানাগুলো থেকে আবারও ঐ ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে।