Categories
allPost

চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি

85 people 👁️ing this randomly

চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি

-বাদি পক্ষের আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী
-আসামী পক্ষ ন্যায় বিচার প্রত্যাশী
৬৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে এক বছর ৬ মাস পর আগামী ৩১ জানুয়ারী ঘোষণা করা হচ্ছে দেশজুড়ে আলোচিত চাঞ্চল্যকর
মেজর (অব:) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের টানা ৪ দিন যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার (১২ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ দিন ধার্য্য করেন। এর আগে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের সমাপনী যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেন।

Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.

Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.

সাক্ষ্য, জেরা, ৩৪২ ধারায় আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্কসহ এ মামলার সকল বিচারিক কার্যক্রমের আগে ৮ পর্বে ৪০ কার্যদিবসে সমাপ্ত করা হয়।
মামলার কার্যক্রম শেষে গণমাধ্যমের কাছে বাদী পক্ষ ও রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা আসামীদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমান করেছেন বলে দাবি করেন এবং আইন অনুযায়ী আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরপক্ষে, আসামীদের আইনজীবীরা মামলা দায়েরকালীন ত্রুটিসহ বিভিন্ন দিক আদালতে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেন। তাঁরাও আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন।
গত ১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলামসহ চার্জসীটের মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন করা হয়। মামলার আইও মোঃ খায়রুল ইসলাম বর্তমানে র‍্যাব সদর দপ্তরে গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত আছেন।

গত ১৬ নভেম্বর এ মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জামিলুল হককে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা সম্পন্ন করেন। মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি জামিলুল হক ২০২০ সালের ৬ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত শুধুমাত্র ৮ দিন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটির আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এডভোকেট ফরিদুল আলম, অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী, এপিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ আদালতে দায়িত্ব পালন করেন।
আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে সিনিয়র আইনজীবী, ফৌজদারি অপরাধ বিশেষজ্ঞ সৈয়দ রেজাউর রহমান রাষ্ট্র পক্ষে আদালতে শুধুমাত্র যুক্তিতর্ক পর্বে অংশ নেন।

আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এর আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট মোহাম্মদ সৈয়দুল ইসলাম, এডভোকেট মোহাম্মদ আইয়ুব, এডভোকেট এসমিকা সুলতানা, এডভোকেট শাহ আলম, এডভোকেট আবুল আলা জাহাঙ্গীর প্রমুখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামীদের পক্ষে আদালতে এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, এডভোকেট চন্দন দাশ, এডভোকেট দিলীপ দাশ, এডভোকেট শামশুল আলম, এডভোকেট মমতাজ আহমদ (সাবেক পিপি) এডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া, এডভোকেট এম.এ বারী, এডভোকেট ওসমান সরওয়ার আলম শাহীন, এডভোকেট মোশাররফ হোসেন শিমুল, এডভোকেট ইফতেখার মাহমুদ, এডভোকেট নুরুল হুদা, এডভোকেট মোবারক হোসেন মামলার কার্যক্রমে অংশ নেন।

২০২১ সালের ২৩ আগস্ট কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এর আদালতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
যার মামলা নম্বর এসটি-৪৯৩/২০২১ ইংরেজী। জিআর মামলা নম্বর : ৭০৩/২০২০ ইংরেজি। টেকনাফ মডেল থানা মামলা নম্বর : ৯/২০২০ ইংরেজি। মামলাটি তদন্তভার দেওয়া হয় র‍্যাব-১৫ কে। ১ বছর ৬ মাসে এ মামলার রায় ঘোষনার দিন ধার্য্য করা হলো।
মামলার কার্যক্রম চলাকালে প্রতিদিন ১৫ জন আসামীকেও কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। আসামীদের মধ্যে ১২ জন আসামী ১৬৪ ধারায় আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তারা হলেন : বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
আর যে ৩ জন আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেননি তারা হলেন, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও কনস্টেবল সাগর দেব। আদালতে চার্জশীট জমা দেওয়ার পর গত ২৪ জুন কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

এদিকে, এ মামলায় যে ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন-মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: দেলোয়ার হোসেন শামীম ও তামান্না ফারাহ, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সাহিদুল ইসলাম সিফাত, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আমিন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, হাফেজ শহীদুল ইসলাম, আবদুল হামিদ, ফিরোজ মাহমুদ, মোহাম্মদ শওকত আলী, হাফেজ জহিরুল ইসলাম, ডা. রনধীর দেবনাথ, সেনা সদস্য সার্জেন্ট আইয়ুব আলী, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মোঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী, মোক্তার আহমদ, ছেনোয়ারা বেগম, হামজালাল, আলী আকবর, ফরিদুল মোস্তফা খান, বেবী ইসলাম, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মোঃ মুনতাসীর আরেফিন, সার্জেন্ট মোঃ মোক্তার হোসেন, কর্পোরাল নুর মোহাম্মদ, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সৈয়দ মঈন, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবু জাফর এবং লেন্স কর্পোরাল মোঃ রুহুল আমিন, আহমদ কবির মনু, ধলা মিয়া, সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোঃ জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট আনিসুর রহমান, কনস্টেবল কামরুল হাসান, রামু সেনানিবাসের ১০ এমপি ইউনিটের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইমরান হাসান, র‍্যাব-১৫ এর এএসআই নজরুল ইসলাম, এসআই সোহেল সিকদার, পুলিশের কনস্টেবল শুভ পাল, এসআই মোঃ আমিনুল ইসলাম ও একই থানার কনস্টেবল পলাশ ভট্টাচার্য, জব্দ তালিকার সাক্ষী কনস্টেবল উসালা মার্মা, সেনা সদস্য হীরা মিয়া, র‍্যাব-১৫ এর নৌবাহিনীর সদস্য আবু সালাম, কাউন্টার ম্যানেজার নবী হোসেন, আবুল কালাম ও শহীদ উদ্দিন, সিনহাকে খুনের আগে-পরে বিভিন্ন জনের মোবাইল ফোন রেকর্ডকারী গ্রামীণ ফোনের প্রতিনিধি মোঃ আহসানুল হক, রবি অপারেটরের প্রতিনিধি সৈকত আহমদ শিপলু, রাসায়নিক পরীক্ষক মিজানুর রহমান ও পিংকু পোদ্দার, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন, এসআই বাবুল মিয়া, এসআই রাশেদুল হাসান, এসআই হাশেম, এসআই মোহাম্মদ মুছা, এসআই আবদুল জলিল, এসআই আবদুল্লাহ আল হাসান, এএসআই মোঃ বাবুল মিয়া, এসআই নাজমুল হোসেন এবং এসআই সুমন কান্তি দে, এসআই কামাল হোসেন, পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন ও পরিদর্শক এ.বি.এম.এস দোহা
মামলার আইও মোঃ খায়রুল ইসলাম এবং প্রথম আইও সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জামিলুল হক।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।


More Story on Source:

*here*

চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি

Dillard's - The Style of Your Life.

By allaboutian

open profile for all

Related Posts

current news of Dhaka bangladesh ,CEC Huda

CEC Huda not Embarrassed | Current News of Dhaka Bangladesh

839 people 👁️ing this randomly CEC Huda not Embarrassed | Current News of Dhaka Bangladesh…

বরিশাল মহানগর বিএনপি’র ৩০ ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত

900 people 👁️ing this randomly বরিশাল মহানগর বিএনপি’র ৩০ ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত বরিশাল মহানগরীর আওতাধীন…

প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব নেতাকর্মীর রিপোর্ট আছে 

914 people 👁️ing this randomly প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব নেতাকর্মীর রিপোর্ট আছে  সুনামগঞ্জ: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ…