Categories
allPost

মাদক কারবারে মানি লন্ডারিং মামলায় গতি নেই

222 people 👁️ing this randomly

মাদক কারবারে মানি লন্ডারিং মামলায় গতি নেই

Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.

Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.

অবৈধ মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণে শীর্ষ কারবারিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) আইনে মামলা করতে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও কার্যক্রমে গতি নেই। গত ছয় বছরে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে এ আইনে ১৭টি মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে চারটি মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এ সময় মোট ৪১২টি মানি লন্ডারিং মামলা করেছে এই তদন্তকারী সংস্থা।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে দুদক এখন পর্যন্ত দেড় হাজার মানি লন্ডারিং মামলা করলেও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মাত্র দুটি মামলা করার তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটি শতাধিক কারবারির ব্যাপারে অনুসন্ধানে নামলেও অগ্রগতি নেই।  

এ বিষয়ে সরকারের মূল সংস্থা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও (ডিএনসি) করেছে মাত্র দুটি মামলা। প্রায় তিন বছর আগের মামলা দুটির তদন্ত শেষ হয়নি এখনো। ৪০ জন কারবারির বিষয়েও অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। তবে সেই কার্যক্রম এগোয়নি।

২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশোধিত গেজেট প্রকাশের পর থেকে দুদক ছাড়াও সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তকারীরা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দারা এবং ডিএনসি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্তের ক্ষমতা পায়। সব সংস্থা মিলে ২৭ ধরনের অপরাধে প্রায় দুই হাজার মামলা করেছে। কয়েক শ মামলা বিচারাধীন।  

২০১৮ সালে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা করতে বলা হয়। ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইয়াবা কারবারিদের মধ্যে ১০২ জন এবং ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ২১ জন   পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। অনুসন্ধান করে এদের সবার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা করা হবে বলে জানানো হয়। সিআইডি ওই ১২৩ কারবারির মধ্যে ২০ জনের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে এখন পর্যন্ত ১৪টি মামলা করেছে। বাকিদের বিষয়ে নেই অনুসন্ধান কার্যক্রম।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুটি মামলা করার পর ৪০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে ডিএনসি। ১০২ কারবারিকে নিয়ে দুদকও অনুসন্ধান শুরু করেছিল। তবে কার্যক্রম এগোয়নি।

সিআইডি ও ডিএনসির কর্মকর্তারা বলছেন, দায়ের করা মামলার তদন্তের পাশাপাশি কিছু ব্যক্তির ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।  

ডিএনসির পরিচালক (অপারেশন) কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘আমাদের মামলাগুলোর তদন্ত শেষ পর্যায়। অনুসন্ধান করে পর্যায়ক্রমে আরো কিছু মামলা করা হবে। ’ 

প্রথম মামলার তদন্তই শেষ হয়নি

ডিএনসি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে বিশেষ অভিযান শুরু হলে ১১ জুন চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় মাহমুদুল হাসান নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করে ডিএনসি। এটিই সংস্থার প্রথম মানি লন্ডারিং মামলা। র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শীর্ষ মাদক কারবারি জাহিদুল ইসলাম আলোর ইয়াবা কারবারের টাকা লেনদেন করে সরান মাহমুদুল—এমন তথ্য থাকায় মামলাটির তদন্ত চলছে আজও।

একই ব্যক্তির মাদক কারবারের টাকা পাচারের অনুসন্ধানের সূত্রে ২০১৯ সালের ১ মে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় আরেকটি মামলা করে ডিএনসি। মাদক কারবারি আলো রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ইউসিবিএল ব্যাংকের একটি হিসাব থেকে ১১ কোটি টাকা যাঁদের সঙ্গে লেনদেন করেছেন তাঁদের এই মামলায় আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন জাবেদ, তাঁর স্ত্রী ফারহানা সুমি, নূরুল ইসলাম মিঠু ও হাসান। তদন্তে আলোর সঙ্গে মিলে ইয়াবা কারবারের টাকা লেনদেনের আরো তথ্য মিলেছে বলে জানায় সূত্র।

ডিএনসির একজন কর্মকর্তা বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে অনেক প্রমাণ ও আলামত লাগে। এই বিশেষ তদন্তের জন্য দক্ষদের নিয়ে আলাদা শাখা তৈরি করা প্রয়োজন। সময় ও দক্ষতার অভাবে ৪০টি অনুসন্ধান এখনো শেষ হচ্ছে না।

সিআইডির তদন্তেও ধীরগতি

সিআইডির আর্থিক অপরাধ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১৭টি মামলা করেছি। কক্সবাজারের আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে ১৪টি এবং তিনটি মামলা আগের। আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে তিনটি এবং আগের একটি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ৯টি মামলার তদন্তভার কক্সবাজার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ’ তিনি বলেন, ‘এখন মামলা করার মতো অনুসন্ধান পর্যায়ে কোনো ফাইল নেই। ’

সিআইডির আর্থিক অপরাধ শাখার তথ্য মতে, ২০১৫ সাল থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত তারা ৪১২টি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করে ২৮১টির প্রতিবেদন দিয়েছে। ১৩১টি তদন্তাধীন।

২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট সিআইডি টেকনাফ থানায় ইয়াবা কারবারি নূরুল ইসলাম ভুট্টু, সৈয়দ আলম, নূরুল আলম নামের তিন শীর্ষ ইয়াবা কারবারি এবং তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তিনটি মানি লন্ডারিং মামলা করে। এগুলোই দেশে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রথম মানি লন্ডারিং মামলা। এর মধ্যে ভুট্টু ও তাঁর ৪৩ সহযোগীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। বাকি দুই মামলায় সম্প্রতি কক্সবাজারে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করার সময়ই তাঁদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মানি লন্ডারিং মামলার ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেন, মাদক কারবারিদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিলে দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।

সুযোগ পেয়ে টাকা সরিয়েছেন কারবারিরা

সিআইডি সূত্র জানায়, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাঁদের মাত্র পাঁচজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে সাত কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক (৩২) ও ফয়সাল রহমান (৩৫)। অপর তিনজন হলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক ওরফে এনাম, নুরুল হুদা ও মোহাম্মদ একরাম। আবদুর রহমান বদির ভাই শফিক ও ফয়সাল—দুজনেরই উপকূলে লবণ উৎপাদন করে বিক্রি করার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। তবে তাঁদের এ ব্যবসা শুধু কাগজে-কলমে। ফয়সাল রহমানের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। আর শফিকের একটি অ্যাকাউন্টে ৬৫ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি ৭০ লাখ টাকা খরচ করে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন।

এ ছাড়া টেকনাফের হ্লীলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য নুরুল হুদার (৩৫) অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। পাঁচ বছর আগেও গাড়িচালক ছিলেন নুরুল হুদা। এরপর ইটভাটা ও হাঁস-মুরগির খামার করেন। টেকনাফের বন্দর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র ২৫ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। মোহাম্মদ একরামের দুই কোটি ৪১ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি এই টাকা দিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে জমি কিনেছেন।

সিআইডির একজন কর্মকর্তা বলেন, ইয়াবা কারবারিরা কৌশলে টাকা সরিয়ে ফেলেছেন। সম্পদও আড়াল করছেন। বদির সত্ভাই শুক্কুর ইয়াবার টাকায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পদ কিনেছেন। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য থাকলেও টাকা নেই। আমিনুরের অ্যাকাউন্টেও নেই টাকা। নুরুল কবিরের ১৯টি জমির তথ্য মিলেছে, যার মূল্য কমপক্ষে তিন কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। আরেক আসামি জামাল মেম্বারের ৮০ শতাংশ জমি পাওয়া গেছে, যার মূল্য ১৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। মোহাম্মদ আলীর প্রায় এক একর জমি ও বিলাসবহুল গাড়ি আছে। আব্দুর রহমানের জমি আছে কমপক্ষে ৪৩ লাখ টাকার। তাঁরা কৌশলে নিজেদের নামে ব্যাংক হিসাব নম্বরে বেশি টাকা জমা রাখেননি।

দুদকের অনুসন্ধানে গতি নেই

প্রথম দফায় ১০২ জন কারবারি আত্মসমর্পণ করলে এবং ঢাকার অর্ধশত কারবারি শনাক্ত হলে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তবে গত দুই বছরে শুধু মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে দুটি মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করেছে বলে জানা গেছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক কালের কণ্ঠকে বলেন, আলাদাভাবে মাদক কারবারিদের ব্যাপারে তদন্ত ও অনুসন্ধানের ব্যাপারে তথ্য নেই। তবে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৫টি মামলা হয়েছে। সব মিলিয়ে এক হাজার ৫২১টি মামলা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে ১৭০টির।


More Story on Source:

*here*

মাদক কারবারে মানি লন্ডারিং মামলায় গতি নেই

Dillard's - The Style of Your Life.

By allaboutian

open profile for all

Related Posts

current news of Dhaka bangladesh ,CEC Huda

CEC Huda not Embarrassed | Current News of Dhaka Bangladesh

831 people 👁️ing this randomly CEC Huda not Embarrassed | Current News of Dhaka Bangladesh…

বরিশাল মহানগর বিএনপি’র ৩০ ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত

887 people 👁️ing this randomly বরিশাল মহানগর বিএনপি’র ৩০ ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত বরিশাল মহানগরীর আওতাধীন…

প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব নেতাকর্মীর রিপোর্ট আছে 

904 people 👁️ing this randomly প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব নেতাকর্মীর রিপোর্ট আছে  সুনামগঞ্জ: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ…