এন্ড্রু কিশোর নিজেও চেয়েছিলেন দ্রুত চলে যেতে!
দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ৬ জুলাই, সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের নিজস্ব ক্লিনিকে নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আটবারের চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত এই বরেণ্য শিল্পী।
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
তবে এর আগে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে কষ্ট সইতে না পেরে দ্রুত নিজের মৃত্যু কামনা করেছিলেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে এন্ড্রু কিশোরের স্ত্রী লিপিকা।
সোমবার সন্ধ্যার আগে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিপিকা লিখেছেন, ‘এখন কিশোর কোনো কথা বলে না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে। আমি বলি কী ভাব, বলে কিছু না, পুরানো কথা মনে পড়ে আর ঈশ্বরকে বলি আমাকে তাড়াতাড়ি নিয়ে যাও, বেশি কষ্ট দিও না।’
লিপিকা লিখেছিলেন, ‘ক্যানসারের শেষ ধাপ খুব যন্ত্রণাদায়ক। এন্ড্রু কিশোরের জন্য সবাই প্রাণ খুলে দোয়া করবেন, যেন কম কষ্ট পায় এবং একটু শান্তিতে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যেতে পারে।
আমার মনে হলো, কিশোর শুধু আমার, আমাদের সন্তানের বা আমাদের পরিবারের নয় বরং দেশের মানুষের একটা অংশ বা সম্পদ। তাই এই কথাগুলো দেশের ভক্ত শ্রোতাদের বলা বা জানানো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
আর এই স্ট্যাটাসের কিছু সময় পরই মারা যান এন্ড্রু কিশোর। হয়তো এ মৃত্যু শিল্পীর মনের আশাই পূরণ করে দিলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এন্ড্রু কিশোরের ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে ক্যামোথেরাপি দেয়া শুরু হয়। জনপ্রিয় এই শিল্পীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিক সহায়তা করেন।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসা শেষে গত ১১ জুন দেশে আসেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর থেকে রাজশাহীতে বোনের বাসায় থাকছিলেন। তার দেখভাল করছিলেন বোনজামাই চিকিৎসক ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস।