স্বতন্ত্রের ভয়ে ভোট নিয়ে আতঙ্কে আওয়ামী লীগ প্রার্থী
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল মোরছালিন মাছরুর জীবনের নিরাপত্তা ও ভোট নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্ত্রধারী বহিরাগতদের উপস্থিতি বেড়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী সামছুল আলম বাবুল (আনারস) এসব বহিরাগতকে লালন করছেন।
আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জীবনের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে নৌকার প্রার্থী সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য বদরুল আলম শ্যামল, হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জামাল হোসেন সাগরসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাবুল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ১৬ নভেম্বর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ সময় অভিযোগ করে নুরুল মোরছালিন মাছুরুর বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুলের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে প্রচারণার সময় আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেছে। আমার কয়েকজন নেতাকর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম তার (বাবুল) দূর সম্পর্কের ভাগিনা। তাকে (জাহাঙ্গীর) দিয়েই বাবুল স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যেন নৌকার পক্ষে নির্বাচন না করে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশানকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার নেতাকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি। এটি রহস্যজনক। এতে ভোটার ও আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে খুব আতঙ্কে রয়েছি। ‘
সামছুল আলম বাবুল বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমার আত্মীয়। তিনি ঢাকায় থাকেন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল। তিনি কেন আমার নির্বাচনী কাজে আসবেন? নৌকার প্রার্থীর জনসমর্থন নেই, এ জন্য তিনি গুজব ছড়াচ্ছেন। আমার নেতাকর্মীদের ওপর নৌকার কর্মীরা হামলা করেছে, আমিও তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। ‘
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও হাজিরপাড়া ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, অস্ত্রধারী বহিরাগতদের উপস্থিতি, নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা—এসব ঘটনায় কেউই কোনো অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।