৯ ইউপিতে জামানত হারালেন ২৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী!
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
মাদারীপুরের রাজৈর ও শিবচর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী, দুজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও একজন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে রাজৈর উপজেলার ছয়টি ও শিবচর উপজেলার তিন ইউনিয়নে ৫৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২৮ জন প্রার্থী তাঁদের নিজ নিজ ইউনিয়নের মোট ভোটারের মধ্যে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগও পাননি।
রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাহিমা বেগম, বাবলু শেখ, মিজানুর রহমান, মেজবাহ-উর-রহমান, ইশিবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান, দেলোয়ার শরীফ, বাবুল হোসেন, মোহাম্মদ অলি আহাদ, আবুল বাশার, আবুল হোসেন হাওলাদার, ইকবাল হোসেন হাওলাদার, কামাল হোসেন, জহিরুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, মেহেদী হাসান, কদমবাড়ী ইউনিয়নে ধীতান বিশ্বাস, বাজিতপুর ইউনিয়নে ইলিয়াস হাওলাদার, শেলী বেগম, কবিরাজপুর ইউপিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রুহুল আমীন খালাসী ও হরিদাসদী মহেন্দ্রদী ইউনিয়নে রেজাউল করিম মুন্সী ও শাহীন আলম জমানত হারান।
অন্যদিকে শিবচর উপজেলার জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন ভদ্র্রাসন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মাহাবুব আলম ও সন্যাসীর চর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মোশারফ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান ও সিরাজুল ইসলাম। উমেদপুর ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির মো. হায়াদ হাওলাদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মুন্সী, মো. নুরুল হক।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে হলে মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পেতে হয়। যেসব প্রার্থী এই পরিমাণ ভোট পাবেন না, তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার নিয়ম আছে। সেই হিসাবে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে শিবচর ও রাজৈরে ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেই পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আরো বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর রাজৈর ও শিবচর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৫৭ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৯ জন চেয়ারম্যান, ৮১ জন সাধারণ সদস্য ও ২৭ জন সংরক্ষিত মেম্বার পদে নির্বাচিত হন।