দেলদুয়ারে চেয়ারম্যান মাসুদুল, টানা ৪ বার সদস্য পরিমল
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মাসুদুল হাসান তালুকদার বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে টানা ৪ বার সদস্য নির্বাচিত হলেন পরিমল চন্দ্র দে (৬৩)। বৃহস্পতিবার এ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে রিটার্নিং ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান ফলাফল ঘোষণা করেন।
পরিমল চন্দ্র দে ৬নং ওয়ার্ড থেকে ফুটবল প্রতীকে ১৪১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকে পান ১০৮১ ভোট।
বেতশিল্প সমৃদ্ধ ইউনিয়ন আটিয়ার সুপরিচিতি রয়েছে নানাভাবেই। পুরাতন ১০ টাকার নোটে থাকা আটিয়া মসজিদটি এখানেই। ইউনিয়নের সিংগানগর কামান্না পাড়া, গোস্বামী পাড়া, চরপাড়া, বিন্যাউরি ও পিরোজপুর গ্রাম নিয়ে ওয়ার্ডটি গঠিত। হিন্দু অধ্যুষিত এখানকার অসংখ্য পরিবার বেত শিল্পের উপর জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের শীতল পাটির চাহিদা দেশ জুড়ে।
পরিমল চন্দ্র দে পেশায় একজন দলিল লেখক। টানা ৪ বার জয়লাভ করার অনুভূতি প্রকাশে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি জনগণের সাথে আছি। তাদের জন্য কাজ করি। তাই জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দেন। তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। যতদিন জীবিত থাকব মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
এ ওয়ার্ডের ভোটার ও আটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত সরকার বলেন, পরিমল দে দলমত ও হিন্দু মুসলিম সবার কাছে একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি ছোটবেলা থেকেই মানুষের কাজ করেন। তার সাথে প্রতিবার অনেকেই নির্বাচন করেন। কিন্তু তার জনপ্রিয়তায় অন্যরা হেরে যান।
এদিকে এখানে চেয়ারম্যান পদে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী মাসুদুল হাসান তালুকদার ৪৭৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকে মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪২৯৭ ভোট। তিনি দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ৮ নভেম্বর সোমবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল উজ্জামান মোল্লা (৪১)। তার মৃত্যুতে ভোট স্থগিত হয়েছিল। ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৬ হাজার ৬৪ জন (পুরুষ ১২ হাজার ৮১৬ ও নারী ১৩ হাজার ২৪৭)।