বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে ১০ কোটি টাকা চায় জেমস-মাইলস
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার ধার্য তারিখে মানাম ও হামিন এজলাসে হাজির ছিলেন।
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
মামলায় অন্তবর্তীকালীন জামিনে থাকা বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান কর্পোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনীক ধর আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিন চান।
তাদের আইনজীবী বাহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাদীপক্ষের সঙ্গে মামলা নিয়ে আপসের কথাবার্তা চলছে। জেমস ও মাইলস ৫ কোটি করে ১০ কোটি টাকা চেয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল জানান, শুনানি শেষে আদালত আসামিদের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে আপসসহ সার্বিক বিষয়ের সিদ্ধান্তের জন্য ৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করেন।
৩০ নভেম্বর আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে সোমবার পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন। তার মেয়াদ শেষ হলে সোমবার তারা আদালতে এসে জামিনের স্থায়ী আবেদন করেন।
তাপস পাল বলেন, “আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, জেমস এবং মাইলসের পক্ষ থেকে মামলাটি আপসের জন্য ৫ কোটি করে ১০ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুইপক্ষ বৈঠকেও বসবেন। তাদের আপসের কথাবার্তা চলছে।”
গত ১০ নভেম্বর বাংলালিংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের মানাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ পৃথক দুটি মামলা করেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুটি আসামিরা তাদের বাংলালিংক অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে জেমসও তার গাওয়া ‘দুখিনী দুঃখ করো না’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’, ও যার যার ধর্ম গান সম্পর্কেও একই ধরনের অভিযোগ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মামলার আসামি প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া বিদেশে চলে গেছেন বলে বাদীপক্ষ জেনেছে। এজন্য বাদীপক্ষ তাকে মামলা থেকে তাকে বাদ দিয়েছে।