সারা খুলনা অঞ্চলের খবরা খবর
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে ঘটে: সেখ জুয়েল এমপি
খবর বিজ্ঞপ্তি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে যে অবস্থানে, মাত্র ১০ বছরের আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারতাম। বঙ্গন্ধুকে হত্যার পরে পাকিস্তানের দালালরা ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শত্রুরা এদেশকে এগিয়ে যেতে দেয়নি। তারা দেশবিরোধী চক্র ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দিয়েছে। যারা দেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্থ করেছে। তারপরও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার সঠিক নেতৃত্ব ও বিচক্ষণতায় বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন আমাদের দেশ পৃথিবীর উন্নয়ণের রোল মডেল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। তিনি খুলনাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়তে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। খুলনার জলাবদ্ধতা নিরসনে ভৈরব-রূপসা নদী খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ৬লেনে উন্নতিকরণের কাজ চলছে। খুলনায় ক্যান্সার হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, মানসিক রোগীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ণে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে পদ্মা সেতু, কর্নফুলি ট্যানেলের মতো মেগা প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত দেশ হিসেবে আবির্ভাব হবে। তাই দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিজয়ে আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন সড়কে সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গণসমাবেশে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম। সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যা. আলমগীর কবীর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, জাতীয় শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পদক রনজিত কুমার ঘোষ, জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, মহানগর যুব লীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরানী রহমান বিউটি। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. সরদার রজব আলী, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, এ্যাড. আনিছুর রহমান পপলু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাজী জাহিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান সাগর, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, আব্দুল হাই পলাশ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, চৌধুরী মিনহাজুল ইসলাম সজল, মো. নজরুল ইসলাম, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, আযম খান, এমরানুল হক বাবু, কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, এ্যাড. এনামুল হক, ড. সাঈদুর রহমান, কাজী কামাল হোসেন, পারভীন ইলিয়াছ, মো. জিলহাজ্ব হাওলাদার, নুর জাহান রুমী, জেসমিন সুলতানা শম্পা, মোর্শেদা দেলোয়ার মলি, তাইজুল ইসলাম তাজু, মাহবুব মোর্শেদ লেমন, আশরাফুল আলম বাবু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ রায়হান উদ্দিন, মো. শহীদুল হাসান, মো. কানাই রায়, আমিরুল ইসলাম বাবু, তাপস রায় চৌধুরী, সরদার আসাদুল ইসলাম সানি, মাহমুদুল হাসান সুজন, মাহমুদুর রহমান রাজেশ, এম এ হাসান সবুজ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আশাশুনির মনিপুরে জমি জবর দখলে বাধা দেওয়ায় হামলায় আহত-৪
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে ভিটেবাড়ি সংলগ্ন জমি জবর দখলে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। থানায় দাখিলকৃত লিখিত এজাহারে জানাগেছে, মনিপুর গ্রামের আঃ জব্বার গাজীর ছেলে বাদী এসমত তোহার বসতবাড়ির জমিতে ঘটনার সময় প্রতিবেশী মৃত নেছার সানা ছেলে খায়রুল, অহেদ আলী গাজীর ছেলে জিনারুল ও জিয়াউর, খায়রুল সানার ছেলে মোস্তাফিজুর, খায়রুলের স্ত্রী বেবী নাজনীন, জিয়ার স্ত্রী শারমীন ও খায়রুলের মেয়ে সুরাইয়া, জিনারুলের স্ত্রী তহমিনাসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার বসত বাড়ি সংলগ্ন ভিটা জমি জবর দখল করতে ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তারা হাতে ধারালো দা, লোহার রড, সাবল, হাতুড়ী, চাইনিজ কুড়াল ও বাশের লাঠিসেটা নিয়ে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ঘেরা বেড়া দিতে ছিল। তার স্ত্রী শরিফুন্নেছা বাঁধা দিলে বেদম মারপিট ও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম কর। ডান হাতের আঙ্গুলে হাড়ডাঙ্গা জখম হয়। তার চাচাতো ভাবি ফিরোজা ঠেকাতে মাথার মাঝখানে কোপ মেরে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও নীলফোলা জখম করে। চাচাতো ভাই সলাম এগিয়ে গেলে তার উপর আক্রমন করলে তার দু’টি দাত পড়ে যায়। অপর চাচাতো ভাবী মনোয়ারার শ্লীলতাহানি ঘটায়। ৭০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া এবং ৫০ সহ¯্রাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। স্বাক্ষীরা এগিয়ে গেলে জীবন নাশের হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা কেটে পড়ে। তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের ২০২২ নির্বাচনে ভোটার তালিকা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের ২০২২ নির্বাচনে ভোটার তালিকা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর (বুধবার) বিজ্ঞ অভয়নগর সহকারী জজ যশোর আদালতে মামলাটি করেছেন সাংবাদিক মো.রিপানুর ইসলাম ওরফে রিপানুর রহমান। যাহার মামলা নং দেওয়ানি ৬১৪/২১। উলেক্ষ নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাব ২০২২ নির্বাচনের তফসিল ৪ ডিসেম্বর ঘোষনা করে এবং খসড়া ভোটা তালিকা প্রকাশ করা হয় ৫ ডিসেম্বর। এবং ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহনের শেষ তারিখ ৭ডিসেম্বর র্নিধারন করা হয়। যাহার প্রেক্ষিতে বাদী সহ অপর দুই জন ৭ ডিসেম্বর আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে বাদী সহ অপর ৬জন ভোটার তালিকা চ্যালেঞ্জ করে বিজ্ঞ অভয়নগর সহকারী জজ আদালতে মামালা দায়ের করেন। যে সকল সাংবাদিকের নাম ভোটার তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. ফারুখ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ চৈতন্য কুমার পাল, সদস্য ডা: মো.বদরুজ্জামান, মো. কামরুল ইসলাম, শেখ আতিয়ার রহমান।
কলারোয়ায় বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে চক্ষু সেবা কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভা
সোহাগ হোসেন, কলারোয়া প্রতিনিধি
কলারোঢায় বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে চক্ষু সেবা কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার কলারোয়া ব্র্যাক অফিসের হলরুমে জেলা সমন্বিত চক্ষুসেবা কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে চোখের ছানি অপারেশন পরিচালনার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল আই কেয়ারের তত্ত্বাবধানে এবং সাইটসেভার্স এর অর্থায়নে, ব্র্যাক ও বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, শিরোমনি খুলনার বাস্তবায়নে আগামি ১১ জানুয়ারী কলারোয়া ব্র্যাক অফিসে এই চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করা হবে। মতবিনিময় সভায় আয়োজক প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক তহমিনা পারভীন লিলি, শিক্ষক শেখ শাহিন, কৃতি ফুটবলার মাসুদ হোসেন, কলারোয়া ব্র্যাকের শাখা ব্যাবস্থাপক মো. রোকনুজ্জামান। সভা সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রাম এ্যাসিসটেন্ট মাহবুবুর রহমান। সভা শেষে বিনামূল্যে চারজন চোখের অপারেশন করা রোগীর মাঝে চশমা বিতরণ করা হয়।
দেবহাটায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন
কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা
দেবহাটায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশ গ্রহন প্রকল্প অবহিতকরণ ও উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা বিআরডিবি হল রুমে এ উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট ক্রিড়া ব্যক্তিত্ব আফছার আলী মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।ওয়েভ ফাউন্ডেশনের খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী জহীর উদ্দীনের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অধির কুমার গাইন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান,দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটু।সভায় অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,দেবহাটা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব,সহকারী বিআরডিবি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন,উপজেলা স্কাউটসের সাধারন সম্পাদক ও সেন্ট্রাল হাই স্কুল সুবর্নাবাদের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় সরকার।এসময় ইউপি সদস্য আজগার আলী,আলফাতুন্নেছা,বিশিষ্ট সমাজ সেবক উত্তম রায়সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাবকে সভাপতি,যথাক্রমে উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ আব্দুস ছাত্তার ও ইউপি সদস্য আলফাতুন্নেছাকে সহ সভাপতি, শিক্ষক সঞ্জয় সরকারকে সাধারন সম্পাদক, সমাজ সেবক উত্তম রায়কে যুগ্ম সম্পাদক এবং ৪জন কার্য্যনির্বাহী সদস্য ও ১৬জন সদস্যসহ সর্বমোট ২৫সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন করা। উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি গঠন
শার্শায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা,ভাংচুর
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচঁড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর সহিংস ঘটনায় বাড়ি ছাড়া শতাধিক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা আজও বাড়ি ফিরতে পারেনি। বুধবার দুপুরে কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজ খবর নিচ্ছেন যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাগআচড়া ইউপি নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ায় ইউনিয়নের ১০ গ্রামে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। বাড়ি ছাড়া করা হয় ৩ শতাধিক নেতা কর্মীদের। নৌকার প্রার্থী বাগআচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল ভোটের পর থেকেই প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদ ¯থানে। শার্শা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল খালেকের ইন্দনে তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটনানো হচ্ছে। বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল খালেক আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা , ভাংচুর ও লুটপাট করে যাচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি নৌকার সমর্থক হওয়ার কারণেই তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদিকে পুলিশ বলছে যেসব স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেসব স্থান পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্র্শনকালে সাংসদের সাথে ছিলেন,শার্শা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জু, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, যুবলীগ নেতা সোহরাব হোসেন, ছাত্রলীগনেতা আ: রহিম। যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, নৌকায় ভোট দেয়ায় আওয়ামীলীগের যেসব নেতাকর্মীরা নৌকায় ভোট দিয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছে তাদের নিরাপওা দেয়া হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাদের ক্ষতিপুরন দেয়া হবে।
তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না!
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি
তিন বছর মেয়াদী কমিটির ২বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হতে যাচ্ছে। তবুও হচ্ছে না সাতক্ষীরার তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। নির্ধারিত মেয়াদের আগে কমিটি আদেও হবে কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ফলে পদ বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দলীয় কর্মকান্ডেও স্থবিরতা প্রকোপ আকার ধারণ করেছে। যার বহি:প্রকাশ দেখা গিয়েছে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভরাডুবী হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়,সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৮ডিসেম্বর তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। সে সময় দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ স্বপন ও এস এম কামাল হোসেনের নেতৃত্বে শেখ নুরুল ইসলাম কে সভাপতি ও ঘোষ সনৎ কুমার কে সাধারন সম্পাদক মনোনিত করে মোট ২৫ সদস্যের নামের তালিকা করে যান। সেভাবেই চলছে প্রায় দুই বছর। আজও পর্যন্ত গঠন করা হয়নি পূণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তালার সরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্বাস আতিয়ার রহমান বলেন, আমি কিছুদিন আগে উপজেলা সভাপতির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। তিনি ইউনিয়ন কমিটিগুলো গঠন হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান বলেন, এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ বলে কিছুই নেই। যা আছে সবই ব্যক্তি লীগে পরিনত হয়েছে। সাধারন সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, কেন্দ্র ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে ২৫ জনের নাম প্রকাশ করায় দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। যার প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব হয়নি। জামায়াত বিএনপিও এখন আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। এজন্য ইউপি নির্বাচনে দলে আশানুরুপ ফল পাওয়া যায়নি। সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারিনি। মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল ইউনিয়ন কমিটিগুলো গঠন করা শেষ হলেই উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। সেন্ট্রাল কমিটি যাচাই বাছাই ছাড়াই ২৫ জনের একটি নামের তালিকা দিয়ে যাওয়ায় সংগঠনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি এখন মারাত্মক অসুস্থ্য। গলার সমস্যার কারণে এই মুহুর্তে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।
পাটকেলঘাটায় কৃষকলীগের বিজয় র্যালী
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি
পাটকেলঘাটায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক বিজয় র্যালী পাটকেলঘাটা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। তালা উপজেলা কৃষকলীগ আয়োজিত র্যালী শেষে পাঁচ রাস্তা মোড়ে এসে এক পথ সভায় মিলিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জি: শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, তালা উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম, সদস্য সচিব কুমার ইন্দ্রজিত সাধু, শেখ আব্দুর রহমান প্রমুখ।
মোড়েলগঞ্জে মৃত শিক্ষকের দায় শোধ করল কাল্ব
মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে আলী আকবর ফকির নামে প্রায়াত এক শিক্ষকের দুই লক্ষাধিক টাকার ঋণ শোধ করে দিয়েছে বেসরকারি দাতা সংস্থা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কাল্ব)।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা দিকে সংস্থাটির ‘গ’ অঞ্চলের পরিচালক মো. আরিফ হাসান, জেলা ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত থেকে চেক হস্তান্তর করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে এ চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শিক্ষক কর্মচারি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ।
জানা গেছে, শ্রেণিখালী ইসহাক আলী স্মৃতি দাখিল মাদরাসার সহকারি মৌলভী আলী আকবর ফকির ২০১৯ সালের ১৬ জুন শিক্ষক কর্মচারি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সদস্য হয়ে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন। এ থেকে মাত্র ৩ হাজার টাকা পরিশোধের পরে গত ১১ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
খবর পেয়ে শিক্ষক কর্মচারি ক্রেডিট ইউনিয়নের দাতা সংস্থা কাল্ব ওই শিক্ষকের বাকী ২ লাখ ১২ হাজার ৫৫০ টাকা শোধ করে দেয়। একই সাথে ওই শিক্ষকের সঞ্চয়ের দ্বিগুন পরিমান টাকা আজ তার স্ত্রী জাহানারা বেগম ও মেয়ে আফিফা আক্তার রিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নগর যুবলীগের শীতবস্ত্র বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে হবে আজকের যুব সমাজকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে শোষণমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে যুবলীগকেই অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। আর সেই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশে^ অনন্য স্থান অর্জন করেছে। এই অর্জনকে প্রতিহত করার সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে মানবিক কাজের মধ্যদিয়ে যুবলীগকে। বুধবার খুলনা মহানগর যুবলীগ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন খুলনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ ও যুগ্ম সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এর পরিচালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আবিদ হোসেন কবির, নূর ইসলাম বন্দ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, জেলা আইনজিবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খান, মফিদুল ইসলাম টুটুল, আকিল উদ্দিন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের শেখ, মোঃ আবুল হোসেন, কাজী কামাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কবির পাঠান, তাজুল ইসলাম, মোস্তফা শিকদার, মহিদুল ইসলাম মিলন, ইয়াসিন আরাফাত, রাশেদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্র নেতা রিপন কবির, সদর থানা যুবলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান রিপন, নগর ছাত্রলীগ নেতা জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, এম এ সুবজ, যুবলীগ নেতা আব্দুল মালেক, ইলিয়াস হোসেন লাবু, আরিফুর রহমান আরিফ, ইকবাল কবির লিটন, শওকাত হাসান, হাসান শেখ, আসাদুজ্জামান শাহিন, মোস্তাঈন বিন ইদ্রিস চঞ্চল, ইমরুল ইসলাম রিপন, বাদল সিপাহী, কাঞ্চন শিকদার, জামাল শেখ, ইব্রাহিত হোসেন তপু, জামিল আহমেদ সোহাগ, জিহাদুর রহমান জিহাদ, লাবু আহমেদ, শাহাবুদ্দিন সাবু প্রমুখ।
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রামপালের ডাকরার শহীদদের হয়নি কোন তালিকা
রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আজ ১৬ ই ডিসেম্বর। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করা হচ্ছে। এই উপলক্ষে সরকারি, বেসরকারি ও রাজনৈতিকভাবে ঘটা করে বিজয় দিবস পালন করছি আমরা। ১৯৭১ সালের ২১ মে শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ডাকরা গ্রামে হানাদার বাহিনীর দোসরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন প্রায় ৬ শতাধীক নারী, পুরুষ ও শিশু। ওইসব হতভাগ্যরা জীবন বাঁচতে দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এদের করো বাড়ী বেতকাটা, কাটাখালী, খাঁনপুর, সায়ড়া, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায়। ওই হতভাগ্যদের মধ্যে ১০৪ জনের নাম ও ঠিকানা পাওয়া গেলেও বাকিদের স্বাধীনতার পরবর্তী ৫০ বছরের মধ্যে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যা জাতির জন্য বড় লজ্জার। সাবেক শিক্ষক শিশির কুমার বিশ্বাস আক্ষেপ করে বলেন, রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থাপনায় কেউ উদ্যোগ নেয়নি বা স্থাণীয়ভাবে তথ্যানুসন্ধান না করায় সবাইকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। স্থাণীয় রাজাকার, আলবদর ও তার দোসররা দুইটি নৌকা করে ডাকরা কালিবাড়ী মন্দিরে জড়ো হয়ে থাকা মানুষদের দুই দিন দিয়ে ঘিরে ফেলে। একটি নৌকায় ছিল ২৫ থেকে ২৬ জন ও অপর নৌকায় ছিল ১২/১৫ জন রাজাকার। তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আক্রমন করে নির্বিচারে পাখিরমত গুলি করে হত্যা করে।
২১ মে শুক্রবার বেলা ২ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত চলে এ নারকীয় হত্যাযগ্য। জানা যায়, পালিয়ে যাওয়ার জন্য দুইদিন পূর্ব থেকে ডাকরার কালীবাড়ীর তাত্মিক নোয়া ঠাকুরের বাড়ীতে অবস্থান নেয়। তারা ১৫ থেকে ১৬টি নৌকার করে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাগেরহাটের কুখ্যাত রজ্জব আলী রাজাকার, ডাকরা গ্রামের লিয়াকত গজনবী ও তার ভাই আলতাফ গজনবী এবং বাঁশতলী গ্রামের খোরশেদ মুক্তারের পুত্র রাজাকার ছোটসহ অজ্ঞাতরা এ হত্যাযঞ্জে অংশ নেয়। পার্শবর্তী বাঁশতলী গ্রামের আরও কিছু ব্যক্তি ও্ হত্যাযঞ্জে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু তার কোন নির্ভরযোগ্য ভিত্তি খুজে পাওয়া যায়নি। ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তযোদ্ধা প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (পিসি রায়) ও মুক্তিযোদ্ধা বনমালী ডাকুয়া বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা করেছি ডাকরা গ্রামের নিমু রায়ের অধীনে,তার নেতৃত্বে। কিন্তু বিষ্ময়কর ও দুঃখজনক ঘটনা হলো কোথাও ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের কোন তালিকায় নাম নেই। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত অবমানকর। আমাদের দাবি ডাকরায় নিহত সকল শহীদদের তালিকাসহ কমান্ডার নিমু রায়কে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও তার মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
সরকারি খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে সরকারি খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। এ দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করেন সরকারি খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ কাজী নেয়ামুল শাহীন। পরবর্তীতে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ কাজী নেয়ামুল শাহীন। তিনি তার বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং দেশের প্রতি তাদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি আরও বলেন যে, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তারিখে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে আমাদের মেধাশূণ্য করার চক্রান্ত করা হয়। এ শূণ্যতা পূরণ করার জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন একাডেমিক ইন-চার্জ নূরজাহান আক্তার। বিভাগীয় প্রধানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ সোহরাব হোসেন, বিশ্বজিৎ মন্ডল, মান্না মেহেদি বকুল, মাছুম বিল্লাহ ও মোঃ আজগারুজ্জামান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং অধ্যক্ষ কাজী নেয়ামুল শাহীন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ, থানায় মামলা দায়ের
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার পাথরঘাটায় এক প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলাও দায়ের হয়েছে। বুধবার সকালে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধুর শ^াশুড়ি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক তুহিন (২৮) সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের তবিবার রহমানের ছেলে। ধর্ষনের শিকার ওই গৃহবধু জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গোসল শেষ করে ঘরের মধ্যে জামাকাপড় বদলানোর সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তুহিন ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। এরপর তার সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে লম্পট তুহিন তাকে খাটের উপর নিয়ে নির্যাতন চালায়। এরপর লম্পট তুহিন চলে যাওয়ার সময় এ ঘটনাটি পুলিশ ও তার শ^াশুড়িসহ স্বজনরা যাতে না জানে সেজন্য তাকে হুমকি প্রদান করে। ঘটনাটি জানাজানি করলে ওই গৃহবধূকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় ধর্ষক তুহিন।
নির্যাতিতা গৃহবধুর শ^াশুড়ি জানান, তার ছেলে প্রতিবন্ধি। বৌমার সঙ্গে তুহিন যে ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি এর বিচার চান। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে তিনি বাদী হয়ে ধর্ষক তুহিনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) বাবুল আক্তার জানান, পরিবারটি খুবই অসহায়। তার ছেলে প্রতিবন্ধি। নির্যাতিতা ওই গৃহবধুর মা মানসিক ভারসম্যহীন। তার শ^শুর পুলিশের নাম শুনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। স্বামীও কোনভাবেই থানায় আসতে রাজি নয়। এক পর্যায়ে তার শ^াশুড়ি বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি নথিভুক্ত করে ধর্ষক তুহিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে ওই গৃহবধুর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ১৭ পদে প্রার্থী ৪০ জন
খবর বিজ্ঞপ্তি
আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের নির্বাচনে বুধবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ১৭ টি পদে ৪০ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন সভাপতি পদে উপ-রেজিস্ট্রার জি এম লুৎফর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ তারিকুজ্জামান (লিপন) এবং উপ-প্রধান প্রকৌশলী (তড়িৎ) এস এম মনিরুজ্জামান (পলাশ)। সহ-সভাপতির ২টি পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ রফিকুল ইসলাম (বাবু), মোঃ আব্দুল্লাহ আলা মামুন, তানভীর হোসেন বাবু, উপ-পরিচালক মোঃ জাবেদ এলাহী, সহকারী রেজিস্ট্রার এস এম মোহাম্মদ আলী। সাধারণ সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মাসুদুর রহমান মিয়া, উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডল এবং সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মিয়া মুহাম্মাদ সালাউদ্দিন (সুকর্ণ), সহকারী পরিচালক সুশান্ত কুমার বসু এবং সেকশন অফিসার শেখ আকতার হোসেন। অর্থ সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (রফিক) এবং সহকারী রেজিস্ট্রার এস আতিকুর রহমান। দপ্তর সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মেহেদী হাসান এবং শেখ আফসার উদ্দীন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ছুনুরাম রায় (সাগর) এবং সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান (মিথুন)। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ), সহকারী পরিচালক সাহারা বানু এবং সহকারী রেজিস্ট্রার এইচ এম ইকবাল হোসেন। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে সেকশন অফিসার সুশান্ত অধিকারী, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহাদেব মন্ডল এবং সেকশন অফিসার সরদার ইসরাফিল হোসেন। এছাড়া নির্বাহী সদস্যতে ৭টি প্রার্থী হচ্ছে যথাক্রমে সহকারী রেজিস্ট্রার সাইদা আক্তার রিনি, সেকশন অফিসার খান মঞ্জুর মোমেন রানা, সেকশন অফিসার মোছাঃ তাহেরা মনোয়ার, সহকারী রেজিস্ট্রার শেখ মোঃ সোহরাব হোসেন, সেকশন অফিসার হিমাদ্রী শেখর মন্ডল, চিফ কম্পাউন্ডার গণেশ চন্দ্র পাল, সহকারী রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর হোসেন, উপ-পরিচালক আবু সালেহ মোঃ পারভেজ, সহকারী রেজিস্ট্রার লাভলী খাতুন, উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মাদ গেলজার হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার সৈয়দ মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক এস এম আব্দুল্লাহ শাহানুর কবির (অয়ন), সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মিজানুর রহমান খান (মুকুল) এবং সেকশন অফিসার লায়লা রুমঝুম।
পাইকগাছায় আবারও বাল্য বিয়ের আয়োজন, বন্ধ করে দিলেন ইউএনও
পাইকগাছা প্রতিনিধি।।
পাইকগাছায় আবারও বাল্য বিবাহ বন্ধকরে মেয়ের পিতাকে অর্থদন্ড করলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম। বুধবার বিকাল তিনটার দিকে পাইকগাছার ৮নং রাড়ুলী ইউনিয়নের রাড়ুলী গ্রামের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলার ছেলে সাথে হরিঢালী ইউনিয়নে মেয়ের নানার বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দিচ্ছিলেন। পাইকগাছা কিশোর কিশোরী ক্লাব থেকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম এর নির্দেশে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন ও ইউনিয়ন মোঃ ফয়সাল হোসেন বিয়ের আসর থেকে মেয়ে ও মেয়ের অভিভাবককে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম বিকাল সাড়ে ৬ টায় মেয়ের অভিভাবককে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা অর্থদ- প্রদান করেন এবং বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি দেখে বিয়ের বরপক্ষ পালিয়ে যায়।
পাইকগাছায় ফার্মসিটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সভাপতি আজিবর সম্পাদক মুছা নির্বাচিত
পাইকগাছা প্রতিনিধি।।
পাইকগাছায় ফার্মসিটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া)র বাৎসরিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে মোঃ আজিবর রহমান সভাপতি ও আবু মুছা সাধারণ সস্পাদক নির্বচিত হয়েছে। বুধবার রাত ৮ টায় দিব্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুষ্ঠিত নির্বচনে ৭০ জন সদস্যর মধ্য ৬৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০ টায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিতিষ চন্দ্র গোলদার ও ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ। নির্বাচনে অন্যন্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন প্রচার সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ রিয়াজুদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোঃ শামিম হোসেন। এ সময় ৭০ জন সদস্যর মধ্য ৬৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করে।
পাইকগাছায় খেঁজুর রস-গুড়ের সাধ ভুলতেই বসেছে সবাই
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
খেঁজুর গুড় একটি অতি শুসাধু মিষ্টি। পৌষ পর্বনে খেঁজুরের রস ছাড়া যেমন কিছুই ভাবা যায়না তেমনি প্রচলিত ভাষায় চাচ ও নলিয়ানের গুড়ের সেই ঘ্রান বা সাধের কথা কে না জানে। অথচ কালের বিবর্তনে আজ বিলুপ্তি হতে বসেছে খেঁজুর গুড় ও রস। খেঁজুর গাছ কাটা (তোলার) লোক না পাওয়া যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। খুলনার পাইকগাছাসহ দক্ষিণ অঞ্চলে কার্তিক অগ্রহায়ণ মাস শুরু হতেই খেঁজুর কাজ তোলার হিড়িক পড়ে যায়। সর্বত্রই দেখা যেত খেঁজুরের পাতা ও ছুবড়ার ছড়াছড়ি। শীত নিবারণেও সকাল সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে আগুনের চারপাশে বসে দলবেধে বসে শীত নিবারণ করতো অনেকেই। আলু পুড়িয়ে বা রসে আলু সিদ্ধ করে খাওয়ার মজাই ছিল অন্য রকম। এছাড়া সকালে কাঁচা রস খাওয়া, টাটকা গুড়ের পাটালি বা গুড় বা তাৎ রস গরমে গরম ভাতে রোদে বসেই খাওয়া হতো। আজকের সময়ে সব কিছুই কল্পনা। উপজেলার সবখানে অতীতে যেমন চাষী জমির আইলের উপর ও পুকুর ডোবা বা পতিত জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো হতো খেঁজুর গাছ। এখন গাছি না থাকায় কেহই খেঁজুর গাছ লাগায় না। যদিও কোন কোন এলাকায় কিছু গাছ থাকলেও তা তোলার কোন লোক পাওয়া যায় না। ফলে খেঁজুর গুড়, রসের কথা ভুলতে বসেছে সবাই। পিঠা পর্বণের কাজ সারছে দুধ চিনি দিয়ে। বাজারে ভেজাল দিয়ে খেঁজুরের গুড় চড়া দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যাতে খেঁজুরের সাধ, গন্ধ কিছুই পাওয়া যায় না।
পথের বাজারে ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতাকে হুমকি থানায় অভিযোগ
আটরা গিলাতলা প্রতিনিধি
নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন পথের বাজারে ব্যাবসায়ি মোঃ শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, ও পথের বাজার বনিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক যুবলীগ নেতা ইকতিয়ার হোসেন মওলাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করা হয়েছে । এ ঘটনায় ভুক্তভোগি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ খানজাহান আলী থানায় গত ১১ ডিসেম্ভর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় পথেরবাজারস্থ মশিয়ালী মৌজার জে এল-১৯ এর খতিয়ান নং-৩৭৭/৬, দাগ নং-৪৮ এর ০.২৫ শতক জমি ২০০৭ সালে খরিদ করেন। গত ১১/১২/২০২১ ইং তারিখে সকাল ১১ টার সময় ভুক্তভোগি জায়গার ভিতর সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য গেলে দামোদার গ্রামের মৃত হাসেন আলীর পুত্র আসলাম ভুইয়া ও তার পুত্র জোবায়ের ভুইয়া , এবং মশিয়ালী গাবতলা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি মকবুল শেখের পুত্র মহাসিন ওরফে কালা মহাসিন বাধা প্রদান করেন । এ সময় মহাসিন ও জোবায়ের নগদ ১ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে ও এ ঘটনা কাউকে বললে প্রানে শেষ করে দিবে বলে হুমকি দেয় । খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ^াস জানান এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি শাহাবুদ্দিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
দাকোপে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
মোঃ শামীম হোসেন, বাজুয়া (দাকোপ)
খুলনার দাকোপে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় এক যুবক গ্রেফতার। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের। গ্রেফতারকৃত যুবককে জেল হাজতে প্রেরণ। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার রামনগর ধোপাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি রায় রামনগর গ্রামের নিজ বাড়ী হতে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রামনগর মৃত সতীশ সরকারের বাড়ী এলাকায় পৌছালে একই এলাকার শিশির রায়ের পুত্র বখাটে যুবক প্রজেশ রায় ( ২৪) ধারালো দা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের পথ আটকায়। তিনি যুবককে পথ ছেড়ে দাড়াতে বলায় ঐ যুবক প্রধান শিক্ষককে গলা ধাক্কা দিয়ে ধান ক্ষেতের পাশে ফেলে দেয়। পরে তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে দায়ের পিছনের অংশ দিয়ে আঘাত করে প্রধান শিক্ষককে রক্তাক্ত জখম করে আহত করে এবং শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় প্রধান শিক্ষককের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে এবং উক্ত যুবককে ধারালো দাসহ আটক করে দাকোপ থানায় খবর দেয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্তিত হয়ে প্রজেশ রায়কে পুলিশ হেফজাতে নেয়। আহত প্রধান শিক্ষক স্থানীয়দের সহযোগীতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা গ্রহন করে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মিনতি রায় বাদী হয়ে ১ জনের নাম উল্লেখ করে দাকোপ থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৮, তারিখ- ১৪/১২/২০২১। দাকোপ থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত যুবককে জেল হাজতে প্রেরণ করে বলে জানা গেছে।
কলারোয়ায় গাঁজাসহ ১ যুবক আটক
সোহাগ হোসেন,কলারোয়া
কলারোয়ায় এক কেজি গাঁজাসহ আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৩) নামের এক যুবক আটক হয়েছে। সে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়েনের আব্দুল লতিফ এর ছেলে। জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৪ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে কাজিরহাট ব্র্যাক অফিস মোড় থেকে তাকে হাতে নাতে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা। এসময় তার কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান-৬ এর সার্জেন্ট আব্বাস উদ্দিন জানান, আটককৃত আব্দুল্লাহ আল মামুন র্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে কাজিরহাট ব্র্যাক অফিস মোড়ের নদীতে ঝাপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় র্যাবের সিপাহী আরিফ নদীতে ঝাপ দিয়ে ওই আসামীকে ধরতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় আটককৃত যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
খুবিতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় অদম্য বাংলায় শোভাযাত্রা সহকারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিকাল ৪টায় অদম্য বাংলা চত্বরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, বিকাল ৪.৩০ মিনিটে শপথ গ্রহণ ও সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে চলচিত্র প্রদর্শনী।
রাষ্ট্রয়ত্ব পাটকল অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সকল পাওনা পরিশোধের দাবীতে ইর্ষ্টানগেট ও খালিশপুরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
রাষ্ট্রয়ত্ব পাটকল অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পাওনা পরিশোধের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচি অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্ভর আটরা শিল্পাঞ্চলের ইর্ষ্টানগেটে এবং খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের প্লাটিনাম জুট মিলগেটে পৃথকভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । ঢাকা, খুলনা, যশোর, নরসিংদি, চিটাগং রাষ্ট্রয়ত্ব পাটকল কর্মচারী-কর্মকর্তাদের (অবসরকৃত) সকল পাওনা পরিশোধের দাবীতে রাষ্ট্রয়ত্ব পাটকল কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী-কর্মকর্তা সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে সকল পাওনা পরিশোধ সহ ৩ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে পুর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকাল ৪ টায় ইর্ষ্টান জুট মিল গেটের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খন্দকার শহিদুল ইসলাম এবং প্লাটিনামগেটে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তোফায়েল আহম্মেদ। এ সময় বক্তারা বলেন ২০১৩ সালের ১ লা জুলাই থেকে অদ্যাবধি প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাইচুটির কোন টাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা পায়নি , এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ শে জুন থেকে মিলগুলি বন্ধ ঘোষনা করার পর শ্রমিকদের অধিকাংশ টাকা পরিশোধ করা হলেও অবসরকৃত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের কোন পাওনাদী পরিশোধ করা হয়নি । বিজেএমসি’র কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কোন পাওনা পরিশোধ করা হয়নি বলেও উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ , ফলে অনেক কর্মচারী-কর্মকর্তা বিনা চিকিৎসায় অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর যাপন করছে । এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নেতৃবৃন্দ । সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব এস এম জাকির হোসেন , সমন্বয় পরিষদের খুলনা অঞ্চলের আহবায়ক জাহাঙ্গির হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ মনজুরুল করিম, মোঃ আবু জাফর, আঃ ওহাব, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, মোঃ আঃ আজিজ, মোঃ আঃ রশিদ , মোঃ সোহরাব হোসেন, মোজাম্মেল হক খান, প্রমুখ । এদিকে পুর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ি আগামি ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে জানান আন্দোলনরত নেতৃবৃন্দ।
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফেরাতে কেশবপুরে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুরে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের আওতায় ঝরে পড়া ও বিদ্যালয়ে না যাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে চালু হয়েছে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। যশোরের দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার বাস্তবায়নে উপজেলার ৭০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব শিক্ষার্থীদেরকে পড়ানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মজিদপুর এলাকার উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিখন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন, দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার কেশবপুরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এহসানুল ইসলাম রিপন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থার সুপারভাইজার আক্তারুজ্জামান, মামুনার রশীদ, লিপিয়া খাতুন, মোখলেছুর রহমান, আব্দুস সাত্তার, শিক্ষিকা ফারজানা মনি প্রমুখ।
সংস্থার প্রোগ্রাম ম্যানেজার এহসানুল ইসলাম রিপন বলেন, উপজেলার ৭০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া ও বিদ্যালয়ে না যাওয়া ১৪ বছর বয়সী পর্যন্ত ৩০ জন করে শিক্ষার্থীকে নিয়ে মঙ্গলবার থেকে পাঠদান শুরু হয়েছে।
কয়রায় শীতকালীন সবজি চাষের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কতৃক রবি/২০২১ মৌসুমে বিভিন্ন ফসলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশলের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলায় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের অর্থায়নে সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দৌলতপুর খুলনার আয়োজনে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বিকাল ৪ টায় সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে এমএলটি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারি জাহিদ হাসানের পরিচালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ^াসের সভাপতিত্বে প্রদান াতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুনর রশীদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট খুলনার অধ্যক্ষ চিন্ময় রায়, সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম, লেডিস ক্লাবের সভাপতি বিপাশা বিশ^াস, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলমসহ কৃষক কৃষানীবৃন্দ। কৃষক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক বৃন্দ বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন শীতকালীন সবজি, বিটি বেগুন, টমেটো, ব্রোকলি, লালশাক, পালন শাক, মিষ্টি কুমড়া, আলু সহ বিভিন্ন ফসলের আধুনিক কলাকৌশলের উপর প্রশিক্ষণ দেন। কৃষক কৃষাণী এ প্রশিক্ষণ পেয়ে সবজি চাষে খুবই উৎসাহিত হয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ফসল লাগানোর আগে যদি এ রকম প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তাহলে আমরা (কৃষক) লাভবান হবে।
ডুমুরিয়ায় কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালা
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যক রাইট হেয়ার রাইট নাউ-২ প্রকল্পের আয়োজনে সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় কিশোরী ও যুবসমাজ কে প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা শহীদ শেখ আব্দুল মজিদ মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার মোঃ হারুন-অর রশিদ।প্রকল্পের ডিওয়াইএম শিখা রানী শীল স্বাগত বক্তব্যে বলেন,দেশে ১০-১৯ বছর বয়সী প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা না থাকায় নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্য থাকে।এদের বয়স বাড়ার সথে সাথে হরমোনের প্রভাবে শারীরিক ও মানুষিক পরিবর্তন হয়ে থাকে।এসময় শারীরিক ও মানষিক পরিবর্তন সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ ও ধারনা তাদেরকে চিন্তামুক্ত,স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবন যাপনে সহায়তা করতে পারে।বিষয়টি অনেকটা লজ্জাজনক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় সঠিক ্উৎস থেকে ধারনার অভাবে তারা অনেক ভূল তথ্য পায়।যা তাদের জন্য ক্ষতিকর।অথচ শরীরে প্রজনন অঙ্গগুলোর সুস্থতা এবং তার সাথে শারীরিক,মানষিক ও সামাজিক কল্যানকর অবস্থা হল প্রজনন স্বাস্থ্য।এজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,অভিভাবক,শিক্ষক,ধর্মীয়নেতা সহ সকলকে এক যোগে কাজ করার সহযোগিতা জানান তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক,প্রকল্প কর্মকর্তা অমিয় কান্তি মল্লিক,এফও সুজন দাস,সাংবাদিক মাহবুব আলম,শিক্ষক রবিউল ইসলাম লাবু,মফিজুর রহমান,গাজী আব্দুস সালাম,রুহুল তালুকদার,এনজিও প্রতিনিধি দিপঙ্কর মন্ডল,শিল্পী গাইন।
বাগেরহাটে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদন্ড
স্টাফ রিপোটার, বাগেরহাট
বাগেরহাটের কচুয়ায় নিজের সতেরো বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে মো. ফায়জুল হাওলাদার (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আদালত আসামীকে ২৫ হাজার টাকার অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত মো. ফায়জুল হাওলাদার বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি গ্রামের প্রয়াত আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিদ্দিকুর রহমান খান জানান, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ গভীর রাতে বাগেরহাট কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি গ্রামের মো. ফায়জুল হাওলাদার তার মেয়ের শোয়ার ঘরে যেয়ে ঘুমের মধ্যে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ওই রাতে আসামী ফায়জুল তার মেয়েকে দুধের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান বলে তার স্ত্রী অভিযোগ করেন। ধর্ষণের পর রাতেই মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বললে মা তার আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে নিজে বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম পরিবারের অভিযোগ পেয়ে আসামীকে গ্রেপ্তার করেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই বছরের ৩১ মে বাবা ফায়জুল হাওলাদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাদী পক্ষের সাতজন ও আসামী পক্ষের তিনজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে বিচারক আসামী ফায়জুলের উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী ইফতেখারুল ইসলাম রানা।
বাগেরহাটে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্যের উপর সন্ত্রাসী হামলা
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য মোঃ কামাল হাওলাদারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার চিতলী মোড় এলাকায় এই ন্যাক্কার জনক হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার বিচার চেয়ে বুধবার দুপুরে বাগেরহাট মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হাওলাদার।
কামাল হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় চিতলী মোড়ে দাড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ করে চিতলী বৈটপুর এলাকার আঃ হামিদ শেখের ছেলে সন্ত্রাসী স্বপন শেখ ও একই এলাকার আমির মোল্লার ছেলে আরিফ মোল্লাসহ কয়েকজন এসে আমার উপর হামলা করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে কিল ঘুষি ও এলোপাথারি মারপিট করে তারা। আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায়। এই হুমুর্তে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। স্বপন ও আরিফের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। তারপরও তারা আমার উপর হামলা করেছে। এই হামলার সঠিক বিচার চাই।
নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হাওলাদার আরও বলেন, স্বপন ও আরিফ মোল্লা শুধু আমাকে নয়। এলাকার অনেকের উপরই অত্যাচার করেছেন। স্বপন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন অপরাধে স্বপনের বিরুদ্ধে ১১টি এবং আরিফ মোল্লার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। এই মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষার দাবি জানান তিনি। এবিষয়ে জানার জন্য স্বপন ও আরিফকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় ইউপি সদস্য মোঃ কালাম হাওলাদার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা প্রেসক্লাবের নব- নির্বাচিতদের বাগেরহাট প্রেসক্লাবের অভিনন্দন
স্টাফ রিপোটার, বাগেরহাট
খুলনা প্রেসক্লাবের বার্ষিক নির্বাচনে দৈনিক আজকের তথ্যর সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম নজরুল ইসলাম সভাপতি, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর ও দৈনিক সমকালের খুলনা ব্যুরো প্রধান মো. মামুন রেজা সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের সময় এর এস এম কামাল হোসেন কোষাধ্যাক্ষসহ অন্যান্য পদে নব নির্বাচিতদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দরা। বিবৃতি দাতারা হলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, সাধারন সম্পাদক আলহাজ তালুকদার আব্দুল বাকী, সহ- সভাপতি নকিব সিরাজুল হক, সহ সাধারন সম্পাদক শেখ আজমল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোল্লা মাসুদুল হক, দপ্তর সম্পাদক এম হেদায়েত হোসাইন লিটন, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম রাজ, নির্বাহী সদস্য শেখ আহসানুল করিম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ইসরাত জাহান, এস এম সামসুর রহমান, ফকির হাসান আলীসহ প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা।
বাগেরহাটে শিক্ষা উপকরন বিতরণ
স্টাফ রিপোটার
বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপরকরণ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সেভ দ্য চিলড্রেন এর আর্থিক সহায়তায় প্রদীপন এর উদ্যোগে কচুয়া উপজেলার বটতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে এই উপকরন বিতরণ করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরশাত আলীর সভাপতিত্বে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসাঃ শামসুন্নাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কচুয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সতীশ চন্দ্র মন্ডল ও মোঃ শাহীন হোসেন। এ সময়ে প্রদীপনের পক্ষে উপস্হিত ছিলেন ঋণ সমন্বয়কারী মনির হোসেন, এলাকা ব্যাবস্হাপক মানিক ভট্রাচার্য ছাড়াও মিডিয়া কর্মী এস এম আমিরুল হক বাবু ও সোহেল রানা বাবু সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, সুধী বৃন্দ্ব, শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মহেশপুরে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি,
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ২৪৫ পিট ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী সজলকে (৪৫) আটক করেছে ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর সদস্যরা। গতকাল বুধবার দুপুরে র্যাব-৬গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বাজারের পূর্বাশা কাউন্টার থেকে সুন্দরপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম সজলকে ২৪৫ পিচ ইয়াবা সহ আটক করে।
র্যাব জানায়, সজল পূর্বাশা কাউন্টারের ম্যানেজার। সে ইয়াবাগুলো বিক্রয়ের জন্য ঢাকায় পাঠাচ্ছিল। আটক কৃত সজলকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাগেরহাট এবং খুলনায় রূপান্তরের ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ শুরু
খবর বিজ্ঞপ্তি
‘করোনা অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি পুনর্বাসন উদ্যোগ’ প্রকল্পের আওতায় বুধবার খুলনা এবং দাকোপে রূপান্তর কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৃথকভাবে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়। খুলনার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। প্রশিক্ষণে ‘স্ক্রীম’ প্রকল্পের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ফারুক আহমেদ। প্রশিক্ষণে স্বাগত বক্তৃতা করেন বেইস খানজাহানিয়া গণবিদ্যালয়ের ট্রেনিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র রায়। প্রশিক্ষণে সহায়তায় ছিলেন প্রকল্পের মনিটরিং কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা সুবহা শবনম, ফিল্ড অফিসার মোঃ মোশারেফ আলী সোহেল ও টুকু রানী বিশ্বাস। প্রশিক্ষণে আয় বৃদ্ধিমুলক কর্মকান্ডের উন্নয়নে তৃনমূল জনগোষ্ঠীর ৬০জন নারী প্রশিক্ষণার্থী ২টি ব্যাচে অংশগ্রহণ করছেন। দাকোপ উপজেলার বাঁশ, বেত ও পশুসম্পদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন দাকোপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস। এছাড়াও ১৫ ডিসেম্বর দাকোপের বাজুয়া ইউনিয়নে পশুসম্পদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়। অন্যদিকে গত ৮ ডিসেম্বর শরণখোলায় পশুসম্পদ এবং ১৩ ডিসেম্বর বাগেরহাটে বাঁশ, বেত ও পশুসম্পদ বিষয়ক ২টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণসমূহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মদক্ষতা সৃষ্টি করে নয়া স্বাভাবিকত্ব পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর উদ্দেশ্যেই বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনায় শেখ আবু নাসের মেধাবৃত্তি ও বেগম রাজিয়া নাসের স্বর্ণপদক উদ্বোধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনাতে (এনইউবিটিকে) উদ্বোধন করা হয়েছে তিন কোটি টাকার শিক্ষা বৃত্তি। “শেখ আবু নাসের মেধাবৃত্তি ও বেগম রাজিয়া নাসের স্বর্ণপদক”নামে চলতি শিক্ষা বর্ষেই শুরু হওয়া এ শিক্ষা বৃত্তির উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন, এমপি।
বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে শিক্ষা বৃত্তির উদ্বোধন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন,এমপি। নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা-এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল¬াহ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো.মনিরুজ্জামান তালুকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেখ সালাহউদ্দিন, এমপি, বলেন, “আমার আব্বা ও মায়ের নামে চালু হওয়া এই স্কলারশিপ টির খবর আমার জন্য বেশ আনন্দের।আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,“নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি ১৬ বিঘার উপর স্থায়ী ক্যাম্পাসের সূচনা করলো। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম আরো গতি পাবে।” প্রধান অতিথি সেখ সালাহ উদ্দিন, এমপি আরো বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে এসেছেন। মুক্তিযুদ্ধে ভারত যে সহযোগিতা করে ছিলো এবং ট্রেনিং দিয়ে ছিলো তার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ ত্বরান্বিত হয়ে ছিলো। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত, জাতির পিতা শেখ মুজিবের নেতৃত্বে অর্জিত। কিন্তু বারবার এ ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের এই ইতিহাস আরো বেশি পড়া দরকার।” অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার স্কলার শিপটি চালুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিয়েবলেন, “এ উদ্যোগের মাধ্যমে অনেক গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা ও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। গোল্ড মেডেলের মাধ্যমেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি আরো আগ্রহ বাড়বে।”তিনি আরো বলেন, “ক্ষুধা-দরিদ্র মুক্ত দেশ গড়ার যে অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই সেই বাংলাদেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিবে।” সভাপতির বক্তব্যে এনইউবিটিকে –এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল¬াহ বলেন, “আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ করছি। আবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও চলছে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধার দু’জন মানুষ শেখ আবু নাসের এর নামে যে স্কলারশিপটি চালু করাহচ্ছে তাতে গরীব ও মেধাবীরা আরো বেশি পড়াশুনার সুযোগ পাবে এবং বেগম রাজিয়া নাসের-এর নামে গোল্ড মেডেলটির মাধ্যমে যেসব নারী শিক্ষার্থী পড়াশুনায় ভালো ফলাফল করবে তাদের জন্য রাখা হয়েছে।” স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে তিনি বলেন, “আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শেষ করেআমরা সেখানেই আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।” অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজিখুলনা-এর রেজিস্ট্রার ড. মো. শাহ্ আলম, খুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেনসুজন, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও অবিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। উলে¬খ্য, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা ২০১৬ সাল থেকে খুলনাশহরেরশিববাড়ি মোড়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য অনুমতি ও অন্যান্য কার্যক্রম শেষে খুলনা শহরের উপকেন্দ্রে ৬ একর জায়গা জুড়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরির কাজ অতিসত্তর পুরোদমে শুরু হতে যাচ্ছে।
স্টার ডিজিটাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর পক্ষ থেকে খুলনা প্রেসক্লাবকে ডিজিটাল সেট-টপ বক্স প্রদান
খবর বিজ্ঞপ্তি
স্টার ডিজিটাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক-এর পক্ষ থেকে খুলনা প্রেসক্লাবকে ডিজিটাল সেট-টপ বক্স প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে স্টার ডিজিটাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোল্লা মোস্তাফিজুর রহমান(মিলন) খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা’র কাছে এই ডিজিটাল সেট-টপ বক্স হস্তান্তর করেন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য মোঃ আনিসউদ্দিন, সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও দিলিপ কুমার বর্মন। স্টার ডিজিটাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক-এর ফিন্যান্স ডাইরেক্টর আব্দুল্লাহ আল আরিফুল (সজীব), এ্যাডমিন ডাইরেক্টর ফয়েজুল ইসলাম টিটো, ডাইরেক্টর মাসুদ রানা, শেখ আজিজুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ আজিজুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান, দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার বাসক নন্দী প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনে একশত কুমির অবমুক্ত, বনবিভাগের স্বপ্নপূরণ: উপমন্ত্রী
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনে একসাথে একশত কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র সংলগ্ন খালে প্রথমেই ৮টি কুমির অবমুক্ত করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব বেগম হাবিবুন নাহার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় (খুলনা) বন কর্মকর্তা আবু নাসের মহসিন হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বনবিভাগের পক্ষ থেকে পুরো সুন্দরবনে একশত লবণ পানির প্রজাতির কুমির অবমুক্তের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই উদ্যোগের প্রেক্ষিতে বুধবার করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের খালে ৮ কুমির অবমুক্তের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন উপমন্ত্রী আলহাজ্ব বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি বলেন, বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মোট ১শ টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২০টি, খুলনা রেঞ্জে ২০টি, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে ২০টি ও চাঁদপাই রেঞ্জে ২৪টি কুমির অবমুক্ত করা হয়। চাঁদপাই রেঞ্জে ২৪টির মধ্যে করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের খালে ৮টি, জোংড়া এলাকায় ৬টি, নন্দবালা এলাকায় ৫টি ও হাড়বাড়িয়ায় ৫টি অবমুক্ত করেছে বনবিভাগ।
কুমির অবমুক্তকালে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, পুরো মুজিববর্ষ ধরে আমাদের কল্পনা ও স্বপ্ন ছিলো সুন্দরবনে ১শ টি কুমির অবমুক্ত করার। বুধবার একসাথে একশত কুমির অবমুক্তের মধ্যদিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। এর ফলে বিলুপ্ত প্রায় নোনা পানির কুমিরের অস্তিত্ব টিকে থাকবে। এ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা সুন্দরবনের বিভিন্ন রেঞ্জের খালে একশোটি কুমির অবমুক্তের উদ্যোগ নিই। সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন অনুষ্ঠানে বুধবার সুন্দরবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব বেগম হাবিবুন নাহার উপস্থিত থেকে কুমিরগুলো অবমুক্ত করেছেন। এর মুল উদ্দেশ্য হলো দেশের বিলুপ্ত প্রায় লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের প্রজনন, বংশবিস্তার ও সংরক্ষণের। এর মধ্যদিয়ে বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর তালিকায় থাকা কুমিরের অস্তিত্ব টিকে থাকবে এ সুন্দরবনে। সুন্দরবনে এ কুমির অবমুক্তের বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, দেশের বিলুপ্ত প্রায় লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের বংশ বৃদ্ধি, প্রজজন ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ২০০০ সালে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজলে কুমির প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলে বনবিভাগ। সে সময় রোমিও ও জুলিয়েট নামক দুইটি কুমির দিয়ে এ প্রজনন কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে এ কেন্দ্রের শতাধিক কুমির সুন্দরবনের নদী ও খালে অবমুক্ত করা হয়। তাছাড়াও সর্বশেষ বুধবার একসাথে আরো একশত কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রটিতে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে আরো ৯৪টি কুমির রয়েছে।
বাংলাদেশকে জানতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে: কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (কুয়েট) এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশকে জানতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর দৃঢ় নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি। এই “বঙ্গবন্ধু কর্নার” এর মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ এতদাঞ্চলের সকলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে”। ১৫ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে “বঙ্গবন্ধু কর্নার” এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর মোঃ গোলাম কাদের এবং বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. কাজী এবিএম মহীউদ্দিন। উল্লেখ্য, কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের নিচ তলায় স্থাপিত “বঙ্গবন্ধু কর্নার” এর প্রবেশদ্বারে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘জনকের ডাকে জাতির মুক্তি’ শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে পৃথক তিনটি মেটাল ওয়ার্ক দ্বারা একটি শিল্পকর্ম করা হয়েছে। করিডোরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সঙ্গে জীবন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে এবং হাতে আঁকা বঙ্গবন্ধুর তিনটি ছবি রয়েছে। কেন্দ্রের মধ্যে ছোট একটি লাইব্রেরিও রয়েছে। এখানে মোট ২৭৭টি আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও ব্যক্তি জীবন, রাষ্ট্রপরিচালনা সব পর্যায়ের ফটো বায়োগ্রাফি দিয়ে কেন্দ্রটি সাজানো হয়েছে। এছাড়া সাল অনুয়ায়ী বঙ্গবন্ধুর জীবন বৃত্তান্ত ছবির নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে। নবনির্মিত এই “বঙ্গবন্ধু কর্নার” এ রয়েছে দুর্লভ সব আলোকচিত্র। সেখানে সাদাকালো ফ্রেমে আলো-ছায়ার মাঝে তুলে ধরা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম, কৈশর, কলেজ জীবন, ৫৪ এর নির্বাচন থেকে শুরু করে আন্দোলন সংগ্রাম, দেশ গঠন এবং ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত আলোকচিত্রসমূহ। এছাড়া, সেখানে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন দূর্লভ দলিল, দেশি-বিদেশী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধ সময়কার প্রকাশিত সংবাদের ছবি ও আলোকচিত্র। আরও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা বেশকিছু চিঠি, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিভিন্ন বই। এখানে আলোকচিত্র ও শিল্পীর কারুকাজে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার আলোকচিত্র এবং ইতিহাসের দুর্লভ দলিল সমৃদ্ধ এই “বঙ্গবন্ধু কর্নার” টি খুলনার মধ্যে অন্যতম যা প্রায় এক বছর কাজ করার পর ১৫ ডিসেম্বর উদ্বোধনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
চোখের সামনেই পরোটায় এসব কি ব্যবহার হচ্ছে
মোঃ শামীম হোসেন – বাজুয়া (দাকোপ)
সকালের নাস্তায় বেশির ভাগ মানুষই অনায়াসে ঘরের কাছের দোকান থেকে নানরুটি কিংবা পরোটা দিয়ে সকাল-বিকালের নাস্তার পর্ব সেরে ফেলেন। কিন্তু এই রুটি-পরোটা এত নরম কেন কারণ, এতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষিকাজে ব্যবহৃত অজৈব সারের এক ধরনের মিশ্রণ। হোটেল-রেস্তোরাঁয় কর্মীর ভাষায় এর নাম ‘সাল্টু’। এটি পাওয়া যায় মশলার দোকানে। অ্যামোনিয়াম সালফেট এবং ইউরিয়া সার একসঙ্গে মিশিয়ে গুঁড়ো করে এই সাল্টু বানানো হচ্ছে। সরকারি সংস্থা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এই রাসায়নিকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। সাল্টু নামক এই সার রুটি-পরোটা তৈরির আগে আটার খামিতে মিশিয়ে রাখা হয়। তারপর ভাজা হয় রুটি কিংবা পরোটা। এতে পরোটার ওপরের অংশ মচমচে হলেও ভেতরটা হয় নরম। একই উপায়ে বানানো হয় নানরুটি। দাকোপের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন বাজারে ভোরে নাস্তা করতে গিয়ে দেখতে পাই হোটেলের পরোটা অনেক নরম। মনে প্রশ্ন জাগলো পরোটা এত নরম কেন। জিজ্ঞেস করায় হোটেলের কর্মচারীর উত্তর,“পরোটায় সাল্টু আছে।” সাল্টু কী? জিজ্ঞেস করায়, সামনে ভান্ড আনতেই দেখি তার ভেতর রয়েছে অ্যামোনিয়া সারের গুঁড়ো। ভান্ডের মুখ খুলে সামনে ধরে শ্বাস নিতে গিয়ে দেখি দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাজারের হোটেলেই সাল্টু নামের অ্যামোনিয়া সারের ব্যবহার দেখেছি। সবখানেই সাল্টুর ব্যবহার সম্পর্কে হোটেল মালিকরা অবগত। কেউ স্বীকার করছেন, কেউ করছেন না।’ এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে নানান হোটেলে নরম পরোটা ও তন্দুর রুটির খোঁজে নেমে দেখি কেউ সাল্টুর বিষয়টি স্বীকার করছে না। হোটেলের দুই কর্মচারী আভাসে-ইঙ্গিতে বিষয়টি স্বীকার করলেন। তাদের ভাষ্য, ‘রুটি বা পরোটা নরম চায় কাস্টমাররা, তাই অ্যামোনিয়া সারের এই সাল্টু নামের মিশ্রণের ব্যবহার চলছে। কেউ স্বীকার করছে না। টেবিলবয়দের পটিয়ে টিপস দিয়ে জানা গেল, সাল্টুই ব্যবহার হচ্ছে পরোটা ও তন্দুরি নান নরম করতে। বিষয়টি জানার পর বিভিন্ন হোটেল ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। কয়ে কটি রেস্তোরাঁর কর্মচারী মুখ খুললেও অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে চায়নি। রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা বেশ কয়ে কটি হোটেলের কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা মিলেছে। দাকোপের সকল এলাকা ঘুরে আরও জানা যায়, রাস্তার পাশের খাবার হোটেলগুলোতে চিকেন বন বিক্রি করা হয়। আটার খামির ভেতর সামান্য মশলা ঢুকিয়ে দিয়ে তেলে ভেজে সাজিয়ে রাখা হয়। এই বনরুটি তৈরির খামিতেও ব্যবহার করা হয় সাল্টু। যার কারণে চিকেন বনের ভেতরটা খুব নরম হয়। সাল্টুর বদলে ‘ব্রেড ইমপ্রুভার’ কেন ব্যবহার করা হয় না? জানতে চাইলে এলাকার এক রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জানান, বিদেশি জিনিসের দাম বেশি। এটি সস্তায় পাওয়া যায়, তাই সবাই এটিই ব্যবহার করে। এটা তো আজ থেকে না, অনেক দিন ধরেই সবাই ব্যবহার করে। পুষ্টিবিদরা বলছেন এ ধরনের রাসায়নিক সার মিশ্রিত খাবার খেয়ে প্রাথমিকভাবে পেট খারাপ হতে পারে এবং ভবিষ্যতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে ছে। এছাড়াও এই ধরনের রাসায়নিক মিশ্রিত খাবার খেয়ে প্রাথমিকভাবে ডায়ে রিয়া হতে পারে, বমি হতে পারে কিংবা ফুড পয়জনিং। এছাড়া ক্যানসার ও চর্মরোগ হতে পারে। অনেক সময় এই খাবারগুলো লিভারকে অকার্যকর করে দেয়। আজকাল ক্যানসারটা খুব বেশি হচ্ছে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষই এই ঝুঁকিতে আছে।
সেনাসদস্য সাইফুল হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদন্ড
স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর সেনাসদস্য মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে পাঁচ আসামি উপস্থিত ছিল। অন্য তিনজন পলাতক রয়েছে। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলো, সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের (১নং) আসামি আকিমুল ইসলাম, একই উপজেলার বোড়াই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, চুয়াডাঙ্গা জেলার ভুলতিয়া গ্রামের মৃত সবেদ আলী মোল্লার ছেলে ডালিম মোল্লা, সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামের নবী মোল্লার ছেলে মো. আব্বাস আলী, একই গ্রামের মৃত রমজান ম-লের ছেলে মো. আবুল কাশেম, মৃত সাহেব আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, বংকিরা গ্রামের মো. ইয়াকুব্বর ম-লের ছেলে মো. মতিয়ার রহমান ওরফে ফনে এবং সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের দাউদ ম-লের ছেলে মো. মুক্তার হোসেন ওরফে মুক্তার। পলাতক তিনজন হলোÍ মো. মতিয়ার রহমান ওরফে ফনে, মো. মুক্তার হোসেন ওরফে মুক্তার এবং ডালিম মোল্লা। ডালিম উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে সৌদি আরব পালিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল আহদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেল পাশের বদরগঞ্জ বাজার (দশমাইল) থেকে ছোট ভাই নৌবাহিনীর করপোরাল মনিরুল ইসলাম ও শ্বশুর শামসুল মোল্লাকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা (পশ্চিমপাড়া) ফিরছিলেন। পথে বেলতলাদাড়ির মাঠ নামক স্থানে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় তাকে। নিহত সেনা সদস্য টাঙ্গাইল সালাউদ্দিন সেনানিবাসের মেডিকেল ট্রেনিং সেন্টারে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনার একদিন আগে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. হাফিজ উদ্দিন বিশ্বাস বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সাইফ খুনের ঘটনায় গোটা এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কারণ ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় (বংকিরা) পুলিশ ক্যাম্প থেকে অনুমান ১০০ গজের মধ্যে। এতে করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রচ- চাপে পড়ে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের (১নং ) আসামি আকিমুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দেয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, হত্যায় ব্যবহার করা দা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে দেয় সে।২০১৯ সালের ৩০ জুন ঝিনাইদহ সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক অপারেশন মো. মহসীন হোসেন আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।
কবর খুঁড়ে তোলা হলো কুয়েট শিক্ষক সেলিমের লাশ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে কবর থেকে তার লাশ তোলা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে নিজ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের তত্ত্বাবধানে তার লাশ তোলার কাজ শুরু হয়। এদিকে লাশ তোলার সময় খুলনার খানজাহান আলী থানার ওসির কাছে ড. সেলিমের বাবা ছেলের খুনিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এ ঘটনায় সকাল ৮টায় লাশ তোলার কথা থাকলেও কার্যক্রম শুরু হয় ৯টা থেকে এ সময় ঘটনাস্থলে খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবির কুমার বিশ্বাস, ওসি (তদন্ত) এবং এই মৃত্যুর তদন্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার হাসান, কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি ফারহান লাবিব, ড. সেলিম হোসেনের বাবা মো. শুকুর আলিসহ সহস্রাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। লাশ কবর থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে সেলিমের বাবা ও দুই বোন কান্নায় ভেঙে পড়েন। ড. সেলিমের বাবা শুকুর আলী বলেন, তিনি আর্থিক অনটনের কারণে ছেলের মৃত্যুর ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও খুলনা গিয়ে মামলা করতে পারেননি। যে কারণে তিনি খুলনার খানজাহান আলী থানার ওসির হাতে তার ছেলের খুনিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। তিনি তার ছেলের মৃত্যুর জন্য দোষীদের বিচারের জন্য পিবিআই তদন্ত দাবি করেন। এ সময় ড. সেলিমের বোন শিউলী বলেন, তার ভাইকে যেদিন ছাত্রলীগের ছেলেরা ডেকে রুমে নিয়ে যায়; তার যাওয়ার দৃশ্য সিসি ফুটেজে থাকলেও বের হওয়ার দৃশ্য নেই। ওই দিন ছাত্রলীগের ছেলেরা তার ভাইকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিল। কারণ তার ভাইয়ের মুখে ও বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, কবর থেকে অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের লাশ তোলার পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় ওই কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তিনি আরও বলেন, লাশ উত্তোলনের সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা নিয়োজিত আছি। উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়ায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়। তার এই মৃত্যু ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান কুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিসুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে মরদেহ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়। এ ঘটনা হত্যাকা- বলে অভিযোগ করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছেন সেলিমের স্বজন এবং এলাকাবাসী।
খুলনা নগর বিএনপি’র নেতৃত্ব না মানলে থানা কমিটি বিলুপ্ত হবে: মনা
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি’র নগর শাখার আহবায়ক ও কেসিসির সাবেক কাউন্সিলর এস এম শফিকুল আলম মনা স্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছেন নগরের নেতৃত্ব না মানলে শিঘ্রই থানা কমিটি বিলুপ্ত হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আন্দোলন তীব্রতর করতে গতিশীল নেতৃত্ব দিয়েই থানা, নগর ও জেলার পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠিত হবে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দেন। দলের জেলা ও নগর শাখা এর আয়োজক। নগর নেতা শফিকুল আলম মনা ভেদাভেদ ভুলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করতে বাইরে থাকা নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ বিএনপিই পারে জনগণের আশা-আকাংখার প্রতিফলন ঘটাতে। ইতিপূর্বেও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপিকে এগিয়ে নিয়েছি। তার মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পুরণ হয়েছে। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে জনগণ ও সমর্থকদের বিভ্রান্তি দূর করতে আগামী কালের শোভাযাত্রায় দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ তিনি কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে বর্তমান নেতৃত্ব পিছপা হয়নি। সদ্য ঘোষিত কমিটিকে সাংবাদিকরা পকেট কমিটি বলে আখ্যায়িত করলে তিনি তা অস্বীকার করেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ৯ ডিসেম্বরের জেলা ও নগর কমিটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় হয়েছে ফলে এখানে কোন বিভ্রান্তি থাকার কথায় নয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য ডা: গাজি আব্দুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা শাখার আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মঞ্জুরুল হাসান বাপ্পি, যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, নগর শাখার সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, অঙ্গ সংগঠনের আজিজুল হাসান দুলু, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, আজিজা খানম এলিজা ও নিঘাত সীমা উপস্থিত ছিলেন। গত শনিবার সদ্য ঘোষিত নগর ও জেলা কমিটির যৌথ প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। আগামীকাল বিজয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
Post Views: 71
More Story on Source:
*here*
সারা খুলনা অঞ্চলের খবরা খবর
Published By
Latest entries
- allPost2024.11.23Quão Algum Posso Abiscoitar Jogando Xxxtreme Lightning Roulette?
- allPost2024.11.23Slot machine XXXtreme Lightning Roulette apostar a dinheiro abicar casino online Slots City
- allPost2024.11.23Melhores jogos online para abichar bagarote contemporâneo
- allPost2024.11.23Melhores Cassinos Com Bônus Sem Armazém criancice 2024