প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভটি জননেতা আব্দুল মান্নান হল থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
ছাত্রলীগ নেতারা সমাবেশে অভিযোগ করেন, বুধবার গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। এতে সাতজন শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রলীগকর্মী গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রলীগকর্মীকে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সের জন্য যোগাযোগের ৪০ মিনিট পর আসে। ফলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তার নিজ কক্ষে বসে থাকলেও তিনি ছাত্রদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। পুলিশ লাঠিচার্জ করার পরও তিনি কোনো শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর নেননি। তার কাজই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে খেয়াল রাখা। তিনি তা না করায় প্রক্টর হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাকে পদত্যাগ করতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এতে প্রক্টর পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৭২ ঘণ্টা পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতা মানিল শীল বলেন, নুরুল হক নুর সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইস্যু হতে চায়, বার বার সংবাদ মাধ্যমে আসতে চায় তারই প্রমাণ দিয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা ছাত্রলীগ মাঠে আছি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সবসময় সোচ্চার।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা নাজিম রুপক বলেন, মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দল মত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণ মাজারস্থলে ফুল দিতে আসেন। সে সময় অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন সংগঠন নুর গং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নামে কুরুচিপূর্ণ ও দেশবিরোধী শ্লোগান দেওয়ায় মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করে। সে সময় নুরু গং বাহিনী আমাদের এক ছোট ভাইকে মেরে গুরুতর আহত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল বলেন, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গনঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আমাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মীরা আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি একবারের জন্যেও আমাদের খোঁজ নেননি। প্রক্টর আমাদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রানা বাপ্পিকে দেখার জন্য হাসপাতালে যাননি। আমরা এমন প্রক্টর চাই না। তিনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হকের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরিফ উর রহমান টগর/এসজে/জিকেএস
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন জাগো নিউজে। আজই পাঠিয়ে দিন – [email protected]