সংবিধান পর্যালোচনার প্রস্তাব ইনুর
সংবিধান পর্যালোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক এমপি। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় সংবিধান পর্যালোচনা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় ইনু এ প্রস্তাব করেন।
জাসদের পক্ষ থেকে সংবিধান থেকে সামরিক শাসকদের বুটের ছাপ ও গোঁজামিল দূর করার আহ্বান জানান ইনু।
তিনি উল্লেখ করেন, রাষ্ট্র-শাসন-প্রশাসন ব্যবস্থাকে আরও গণতান্ত্রিক ও অংশীদারিত্বমূলক করতে জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ গঠন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা চালু, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু, কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সিটি করপোরেশন-জেলা পরিষদ-উপজেলা পরিষদ-ইউনিয়ন পরিষদ-পৌরসভাসহ সকল স্থানীয় সরকারকে স্বশাসিত ও কার্যকর সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংবিধান পর্যালোচনা করতে হবে।
ভাষণের শুরুতেই দলের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসী ও জাসদের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানান হাসানুল হক ইনু।
জাসদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা দলের সংগ্রাম এগিয়ে নিতে জীবন দিয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জেল-জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সেই নেতাকর্মীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ইনু।
তিনি বলেন, ‘জাসদের ৪৯ বছরের ইতিহাস প্রমাণ করেছে জাসদ নেতাদের দল নয়, কর্মীদের দল। দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, নেতারা দলের পাহারাদার মাত্র।’
জাসদ সভাপতি তার বক্তব্যে দেশের জন্য চারটি বিপদের কথা উল্লেখ করেন। তার মতে, এই বিপদগুলো হচ্ছে—এক. ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ। দুই. দুর্নীতি ও লুটপাট। তিন. দলবাজি ও গুণ্ডাতন্ত্র। চার. আর্থসামাজিক বৈষম্য।
এ প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, এই চারটি বিপদ প্রতিনিয়ত বড় হয়ে উঠছে। এগুলো রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ভিত্তিকে আঘাত করছে। সংবিধান-আইন-কানুন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।
আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—জাসদের কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, আফরোজা হক রীনা, নুরুল আখতার, ফজলুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, শফি উদ্দিন মোল্লা, মোহর আলী চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় উপস্থিত ছিলেন—যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, মো. মোহসীন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, মীর্জা আনোয়ারুল হক, দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় কৃষক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন কাউছার, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মাইনুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিবুর রহমান, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হা-ন) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম।
আলোচনা সভা শেষে মশাল প্রজ্বালন করা হয় এবং মশাল মিছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে গিয়ে শেষ হয়।