বৃদ্ধ বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী জোবেদা খাতুনের নেই কোনো বাঁচার অবলম্বন,অবহেলায় কাটছে দিন
বৃদ্ধ বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী জোবেদা খাতুনের নেই কোনো বাঁচার অবলম্বন,অবহেলায় কাটছে দিন
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
বাবুল খাঁন : বান্দরবান জেলা সদরের পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের চন্দ্রাবাজ পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের তৃতীয় স্ত্রী জোবেদা খাতুন।মৃত আজিজুর রহমানের প্রথম ও দ্বিতীয় ঘরে সন্তান সন্ততি আছে।২য় স্ত্রীর মৃত্যুর পর জোবেদা খাতুনকে বিয়ে করেন আজিজুর রহমান।
মৃত্যুর পূর্বে আজিজুর রহমান তার ৫ম পুত্রের নামে একটা অছিয়ত নামা করে যান যাতে উল্লেখ আছে আজিজুর রহমান বৃদ্ধ বয়সে তিনি ও তার তৃতীয় স্ত্রী জোবেদা খাতুনকে সেবাযত্ন ও চিকিৎসা সেবা করার কারনে আজিজুর রহমান খুশি মনে তার বন্দোবস্ত পক্রিয়াধিন ১০০ শতক জায়গা হতে ২০ শতক তার ৫ম পুত্রের নামে দখল হস্তান্তর অর্পণ করেন এবং এতে শর্ত থাকে আজিজুর রহমানের ৫ম পুত্র অর্থাৎ ইমাম হোসেন তার মৃত্যুর পরে তা ভোগ দখল করিবে এবং আজিজুর রহমানের তৃতীয় স্ত্রী জোবেদা খাতুনের আমরন পর্যন্ত সেবা যত্ন ও দেখাশোনা করবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে মৃত আজিজুর রহমানের তৃতীয় স্ত্রী জোবেদা খাতুন,বর্তমানে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের হাফেজঘোনা(বরিশাল) পাড়ায় তাঁর বড় বোন আমেনা খাতুনের বাসায় বসবাস করছে।
এ বিষয়ে আমেনা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বোন জোবেদা খাতুনের বয়স ৬০। তিনি বাক প্রতিবন্ধী ও শারীরিক ভাবে চলাচলে অক্ষম। গত ১৮ মাস আগে বোনকে দেখতে ইমাম হোসেনের বাসায় যাই এবং তাঁর হাত পা বাধা অবস্থায় দেখতে পাই এর কারন জানতে চাইলে তারা আমাকে জানায় বৃদ্ধ ও বাক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে শোয়ার বিছনাতে পায়খানা প্রসাব করে নষ্ট করার কারনে তার হাত পা বেধে রাখা হয়েছে।
এ অবস্থায় জোবেদা খাতুনের বড় বোন আমেনা খাতুন ইমাম হোসেনের অনুমতি নিয়ে নিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা বলে নিজের বাসা হাফেজঘোনা(বরিশাল) পাড়ায় নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে অসুস্থ জোবেদা খাতুনের চিকিৎসা এবং সেবাযত্ন এই বাসাতেই চলেছে। বড় বোনের এই ধরনের করুন অবহেলার কারনে বান্দরবান সদর থানায় সুবিচারের আশায় মৃত আজিজুর রহমানের ৫ম পুত্র ইমাম হোসেনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে প্রেক্ষিতে তৎকালীন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃশহীদুল ইসলাম চৌধুরী এবং পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম বাচ্চু এবং এলাকার মান্যগোন্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে গত ২১ আগস্ট ২০২১ তারিখে দুই পক্ষের মধ্যে আপোষনামায় উল্লেখিত ৭টি শর্ত মূলে তা চুডান্ত হয় এবং সকলে তা স্বাক্ষর করে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরবর্তীতে আজিজুর রহমানের ৫ম পুত্র ইমাম হোসেন আপোষনামায় তাঁর একার নাম থাকায় এবং অন্য ভাইদের নাম না থাকার অযুহাত দেখিয়ে আজ পর্যন্ত বৃদ্ধ জোবেদা খাতুন অর্থাৎ ইমাম হোসেনের সৎ মায়ের কোন ভরন পোষন ও চিকিৎসার খরচ দেয় নি।
এ ব্যাপারে মৃত আজিজুর রহমানের অন্যান্য পুত্র মোঃ হোসেন,মোঃ কামাল হোসেন,মোঃ আমির হোসেন জানায়,তারা নিয়মিত আমেনা খাতুনের বাসায় গিয়ে তাদের সৎ মায়ের খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসা খরচও প্রদান করেন কিন্তু তাদের ভাই ইমাম হোসেন বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম বাচ্চু ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি প্রদান সহ জোর পূর্বক জোবেদা খাতুনের মৃত্যুর আগেই তার থাকার স্থানে একটি মুরগির খামার বানিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে।
এ ব্যাপারে বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম বাচ্চুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তাদের মধ্যে আপোষও হয়েছে তার পরেও তারা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারছে না। ইমান আলীর বিষয়ে জানতে চাইলেন তিনি বলেন মনে করেন আমি নিজে ইমান আলী। তাঁর দায়িত্ব আমি নিবো। তিনিও সুকৌশলে অভিযোগকৃত ব্যাক্তি ইমাম হোসেনের পক্ষ অবলম্বন করেন।
সৎ মা জোবেদা খাতুনের বর্তমান অবস্থা ও আপোষ নামা অনুযায়ী কার্যকর ব্যাবস্থা বাস্তবায়নের বিষয়ে,মৃত আজিজুর রহমানের ৫ম সন্তান ইমাম হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বিভিন্ন মামলার ভয় প্রদর্শন করে।এবং কৌশলে জোবেদা খাতুনের চিকিৎসা ব্যায় সহ অমানবিক পরিস্থিতির বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন এখন আপন মাকেও ভালো করে কোন সন্তান দেখে না,উনি তো সৎ মা।
বয়োবৃদ্ধ,বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী জোবেদা খাতুনের বর্তমান অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন এ অবস্থায় শেষ বয়সে নিজের নিরাপত্তা ও বেঁচে থাকার তাগিদে সৃষ্ট জটিলতার সঠিক সমাধানের আশায় এখনো ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকে তার পাশে আশা মানুষগুলোর দিকে।
দফায় দফায় আপোষনামা ও ভাইদের মধ্যে সম্পত্তি ভোগ দখলের আইনি জটিলতায় হারিয়ে গেছে তার বৃদ্ধ বয়সে সেবা ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার টুকু।বর্তমান অবস্থায় তাঁর পক্ষে সকল আইনি সহায়তা ও সুবিচারের আশায় তার বোন আমেনা খাতুন বলেন,আমি গরীব মানুষ তাই সম্মানিত জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,ও পার্বত্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
More Story on Source:
*here*
বৃদ্ধ বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী জোবেদা খাতুনের নেই কোনো বাঁচার অবলম্বন,অবহেলায় কাটছে দিন
Published By
Latest entries
- allPost2025.01.30Special Report: Trump says there are no survivors after D.C. plane crash
- allPost2025.01.30Senator asks for more time for questions during Patel confirmation hearing
- allPost2025.01.30Chaotic scenes as Israeli hostage Arbel Yehoud is transferred to the Red Cross
- allPost2025.01.30Pete Hegseth says helicopter pilots involved in midair collision were ‘fairly experienced’