‘সরকার সাম্প্রদায়িক সংঘাত ঘটিয়ে বিএনপি দমনের অস্ত্র বানাচ্ছে’
সরকার ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে’র ঘটনা ঘটিয়ে একে ‘বিএনপি দমনে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Try Adsterra Earnings, it’s 100% Authentic to make money more and more.
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এই অভিযোগ করেন।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আজকের প্রেক্ষাপট, আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী।
আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা বিনষ্ট করছে তারা অত্যন্ত সুচতুরভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একটি দলকে স্থায়ী ভাবে রাখার জন্য কাজ করছে। এই পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটি ঘটনায় দেখবেন আওয়ামী লীগের কোনো না কোনো সংগঠনের বা নেতৃবৃন্দ ওই সব ঘটনার সূত্রপাত করেছে।’
‘আজ পর্যন্ত তার কোনো বিচার হয়নি। হবে না এই জন্য যে, অস্ত্রটা তাদের দরকার। এই অস্ত্র দিয়ে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছে, ভোটের অধিকারের জন্য যারা লড়াই করছে তাদেরকে তারা রুখে দিতে চায়, তাদেরকে তারা স্তব্ধ করতে চায়।’
দুর্গাপূজায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমানে যারা বেআইনিভাবে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা এবং সামনে আবার নির্বাচন নির্বাচন খেলা আসছে সেই খেলায় জয়লাভ করা। এটা হচ্ছে মূল্য লক্ষ্য।’
‘আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি যে, এসব ঘটনার জন্য সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে তারা। উদ্দেশ্য বিএনপিকে আবার জড়িয়ে দিয়ে আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে দেওয়া।’
এই অবস্থার পরিবর্তনে তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই পরিবর্তন চাই, এই মুহূর্তে পরিবর্তন চাই। এই পরিবর্তন ঘটাতে হলে সবার আগে যাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন সেই তরুণ ও যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের ভূমিকা পালন করবে। সেই রাজনৈতিক দলগুলোতে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে তরুণ-যুবকরা।’
‘আমরা আন্দোলনে আছি, আমরা আন্দোলন করছি। বহুদলীয় গণতন্ত্র, বহুদলীয় চিন্তা, বহুদলীয় সমাজ নির্মাণ, শত ফুল ফুটতে দাও- সেই লক্ষ্যে আমাদের এগুতে হবে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। কারণ এদেশের মানুষ কখনো ব্যর্থ হয়নি। বার বার সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে, বার বার মানুষ জয়ী হয়েছে। হয়ত কিছুদিনের জন্য আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি কিন্তু কখনোই আমরা পরাজিত হইনি, হব না।’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মির্জা আব্বাস, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাসদ (রব) এর সানোয়ার হোসেন তালুকদার, বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, সুকোমল বড়ুয়া, রুহুল কবির রিজভী, গৌতম চক্রবর্তী, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, আসাদুজ্জামান আসাদ, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জহির উদ্দিন স্বপন, খন্দকার আবু আশফাক, আফরোজা আব্বাস, মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকুতি কুমার মন্ডল, সাংবাদিক নেতা নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ইলিয়াস খান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিজন কান্তি সরকার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।